আলিপুর আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, এবার পুজোয় অসুর হতে চলেছে নিম্নচাপ। অষ্টমীতে দক্ষিণবঙ্গের দশ জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয় যে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে শনিবার একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। যার ফলে রবিবার পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্তটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলেই নাকি অষ্টমীতে আকাশ পুরোপুরি মেঘলা থাকবে।

অন্যদিকে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল, সপ্তমীও বৃষ্টিতে ভিজবে। ষষ্ঠীর রাতে দু’দফায় বৃষ্টির পরে রাত জেগে ঠাকুর দেখা দর্শনার্থীদের সংখ্যা অনেকটাই কমেছিল। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যার পর কলকাতার কোথাও বৃষ্টি হয়নি। সপ্তমীতে তাই আনন্দ চেটেপুটে নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বড় বাজেটের পুজোগুলোর মধ্যে অগ্রগণ্য চেতলা অগ্রগামী, সুরুচি সংঘ, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, একডালিয়া এভারগ্রিন, মুদিয়ালি, ত্রিধারা সম্মিলনী, ২৫ পল্লী, সেলিমপুর, যোধপুর পার্ক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, মুদিয়ালি, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজো রয়েছে। দক্ষিণের গড়িয়াহাট থেকে উত্তরের শ্যামবাজার, শুধুই জনজোয়ার।

পাশাপাশি, ইতিহাস, ঐতিহ্যে মেনে কুমারী পুজো হয় বেলুড় মঠে। দেবীকে মৃন্ময়ী রূপে আরাধনার পাশাপাশি কুমারীর মধ্যে মাতৃরূপ দর্শন, এই প্রথা মেনেই প্রতিবারের মতো এবারও বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে৷ ১৯০১ সালে মা সারদার উপস্থিতিতে ৯ জন কুমারীকে পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ৷ সেই থেকেই চলে আসছে এই প্রথা৷ কুমারী পুজো দেখতে সকাল থেকেই বেলুড় মঠে রয়েছে উপচে পড়া ভিড়৷ অন্যদিকে, ১০৪ বছরে পা দিল বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো। বর্তমান থিমের জোয়ারে গা না ভাসিয়ে, বরাবরই সাবেকিয়ানাকেই সঙ্গী করে তারা। এবারও সাবেকি প্রতিমায় ডাকের সাজ বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোয়। উত্তর কলকাতার এই পুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই পুজোর সূচনা।নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, নলিনীরঞ্জন সরকার-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: