নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসকে নিয়ে অনেক ছবিই হয়েছে। অনেক রকমের ছবিই হয়েছে। তবে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামি বাবা’ একটু স্বতন্ত্র পথেই হাঁটার চেষ্টা করেছে বলেই পরিচালকের দাবি। কারণ, নেতাজীকে নিয়ে অনেক ছবি হলেও গুমনামি বাবার প্রসঙ্গ কোনও ছবিতেই আসেনি। কে এই গুমনামি বাবা, কী বা তাঁর পরিচয় এই সব নিয়েই কিছুটা স্বতন্ত্রতা থাকছে এই ছবিতে। এছাড়া বিমান দুর্ঘটনার পরে কী হয়েছিল? নেতাজি বেঁচে ছিলেন কি না? এই সব প্রশ্নগুলোও উঠে এসেছে ছবিতে। পরিচালকের কথায় এই ছবির অনেকটা অংশই মুখার্জি কমিশনের একটা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়কে। প্রসেনজিত এই ছবির জন্য ওজন বাড়িয়েছেন। এমনকী নেতাজীর হাঁটা-চলা, কথা বলা ভিডিও দেখে দেখে তাঁকে আয়ত্ত করতে হয়েছে। এমনকী মেক আপ করতেও প্রায় তিন ঘণ্টার কাছাকাছি সময় লাগত। এবং তুলতেও প্রায় দু’ঘণ্টার কাছাকাছি সময় লেগে যেত বলে প্রসেনজিত জানিয়েছেন। প্রস্তুতি নিতে মাস তিনেক সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই মেক আপের জন্য অর্থোডেনটিস্ট, প্রস্থেটিক সব কিছুর সাহায্যেই নিতে হয়েছে বলে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন। জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত এই পরিচালক বলেন, আমরা সাত-আটটা লুক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার করার পরে ফাইনাল লুক ঠিক করেছি। প্রসেনজিতের লুক তৈরিতে তাঁকে সাহায্য করেছেন মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু।  

 

পুজোতে এর আগেও চমক দিয়েছেন সৃজিত- প্রসেনজিত জুটি। এবারে ‘গুমনামি বাবা’র মাধ্যেমে অনেক চমক থাকবে বলেই আশাবাদী দর্শক। ইতিমধ্যেই টিজার রিলিজ হয়েছে। দেখা যাক পুজোয় সৃজিতে নতুন ছবি কতটা প্রভাব ফেলতে পারে দর্শকদের মনে। তবে সুভাষ চন্দ্র বসুর অন্তর্ধানের পর গুমনামী বাবা-ই বা কে? যে রহস্যের সমাধান এখনও হয়নি। যা নিয়ে এখনও সমানভাব সন্দিহান গোটা দেশের মানুষ। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এই ছবিতে প্রসেনজিত ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনির্বান ভট্টাচার্য, তনুশ্রী চক্রবর্তী।



Find out more: