মোদী সরকারের দ্বিতীয় পূর্ণাঙ্গ বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন যা বললেন-
এবারের বাজেটের পর বাড়ছে স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, চিনামাটি ও মাটির বাসনপত্রের দাম। কারণ এগুলির আমদানি-রফতানি শুল্ক দ্বিগুণ হয়ে ২০ শতাংশ হচ্ছে। ঘর-গেরস্থালির ক্ষেত্রে দাম বাড়ছে ঝাঁটা, ফ্যান, ওয়াটার হিটার, ম্যাট্রেস, ল্যাম্প, রেফ্রিজেরাটের ও এসি-র কমপ্রেশরের। রান্নাঘরে দাম বাড়ছে মিক্সি, টোস্টার, চা-কফি মেকার, কুকার, পেপার ট্রে-র।দাম বাড়ছে চিরুনি, হেয়ার ড্রায়ার, ট্রিমার, ক্লিপ, ইমিটেশন গয়না, আয়নার।আমদানিকৃত আসবাবপত্র ও জুতোর দাম বাড়ছে। দাম বাড়ছে বিদেশি পুতুলের।দাম বাড়ছে ক্যাটালাইটিক কনভার্টার, গাড়ির যন্ত্রাংশের। দাম বাড়ছে স্কুটারের।সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের উপরও বাড়ছে আবগারি শুল্ক । ফলে বাড়ছে দাম।
যে হাতেগোনা কয়েকটি পণ্যের দাম কমছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আমদানি করা নিউজপ্রিন্ট, হাল্কা কাগজ, পরিশুদ্ধ টেরেফথ্যালিক অ্যাসিড, স্কিম্ড দুধ, সয়া তন্তু, সয়া প্রোটিন, পশুখামারের দ্রব্যাদি ও কয়েক ধরনের মদ। যেগুলির বেশির ভাগই মধ্যবিত্তের রোজকার জীবনে লাগে না।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীরা যতটা আশা করেছিলেন, আয়করে সেই বাড়তি ছাড় তেমন ভাবে মিলল না। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়ল। ফলে, মধ্যবিত্তের সঞ্চয় করার সুযোগ আরও কমল। এতে দেশের ক্রেতাবাজার আগামী দিনে কতটা চাঙ্গা হয়ে উঠবে, সেই সংশয় বাড়ল বই কমল না। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির জন্য যা খুব জরুরি ছিল।
তবে এই বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ার ভালো-খারাপ দিক আছে। মধ্যবিত্তের জন্য কতটা হয়েছে সেটাও প্রশ্ন উঠছে।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel