উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে দুই-এক পশলা ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাজ্য জুড়েই বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। আগামী দু তিনদিনে তাপমাত্রা কিছুটা নামতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দেশ জুড়ে বর্ষা নেমে গিয়েছে। মধ্য আরব সাগর, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তেলঙ্গনা, ছত্তিশগড়ে বর্ষা পৌঁছে গিয়েছে ২৪ জুন। মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আগামী দু'দিনের মধ্যে মুম্বই, দিল্লি সহ মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান এবং পঞ্জাবে প্রবেশ করবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। মৌসুমি অক্ষরেখা আলিবাগ, শোনপুর, নাগপুর, বক্সার, সিদ্ধার্থনগর, যমুনানগর, উনা ও দ্রাসের উপর দিয়ে রয়েছে।

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত আজ নিম্নচাপে পরিণত হবে। ওড়িশা ও বাংলা উপকূলের এই নিম্নচাপ ওড়িশা উপকূলের দিকে অভিমুখে রয়েছে।আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা আজ ও কাল মৎস্যজীবীদের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।  দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি প্রায় সব জেলাতে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী তিন দিনে অন্তত ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই মেঘলা আকাশের কারণে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নীচে নেমে গিয়েছে কয়েক জেলায়। বৃষ্টি হওয়ায় দিন ও রাতের দুই তাপমাত্রাই কমতে শুরু করবে।

অন্যদিকে, বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে উত্তরবঙ্গে। মঙ্গল বা বুধবার নাগাদ বৃষ্টি বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বিক্ষিপ্তভাবে কিছুটা বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। গত সাত দিনের মতো না হলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে পার্বত্য এলাকায় ধস নামার সম্ভাবনা থাকছে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই তিস্তা, তোর্ষা, জলঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জল বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: