স্কুলে সহপাঠীর সঙ্গে  মারামারি করায় অভিভাবক কে ডেকে পাঠিয়ে ছিল আর সেই ভয়ে গলায় শাড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে বেঙ্গালুরুর জোমলুরে।

পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গেছে, স্কুলে শারীরশিক্ষার ক্লাস চলাকালীন সহপাঠীদের সঙ্গে মারামারি হয়। আর সেই কারণেই শিক্ষক অভিযুক্ত অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের অভিভাবকদের ডেকে পাঠান। কিন্তু বাবা-মা স্কুলে এসে এই ঘটনা জানতে পারলে তাকে বকাবকি করতে পারে,সেই কারনেই মায়ের শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শুকনো কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল নাবালক ছাত্র। বয়স ১৩ বছর।

চলতি সপ্তাহে সোমবারে্ শারীরশিক্ষার ক্লাস চলাকালীন সহপাঠীর সঙ্গে হাতাহাতি হয় আত্মঘাতী ছাত্রের। সেসময় সহপাঠীর পায়ে কম্পাসের পিন ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর স্কুলের তরফে অভিযুক্ত ছাত্রের বাবা-মাকে স্কুলে তলব করা হয়। পরের দিন সে তার অভিভাবকদের স্কুলে না আনলে, ফের বুধবার তাকে স্কুলের তরফে বলা বয় বৃহস্পতিবার সে যেন তার অভিভাবকদের স্কুলে আনে। কিন্তু সে বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন রাখে তার বাবা-মায়ের কাছে। তার ভয় হয় তাঁরা জানতে পারলে তাকে খুব বকাবকি করবেন। সেই ভয়েই বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়।যাওযার সময়ে সে লুকিয়ে মায়ের একটি শাড়ি নিয়ে যায়। এরপর তার বাবা-মা ঘুমিয়ে পরেন। সকাল সাতটা নাগাদ স্থানীয় এক প্রতিবেশী তাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি মরা কুয়োর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে লক্ষ্য করেন, কুয়োর সামনে জমা পড়ে আছে। আর কুয়োর মধ্যে একটা শাড়ি পড়ে আছে। সে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে কুয়োর মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে ওই নাবালক।

এরপর দ্রুত তারা বাবা-মাকে খবর দেওয়া হলে, তাঁরা ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন। স্থানীয়দের সাহায্যে ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ঘটনার কথা জানতে পারে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: