২০০৬ সালে শাহিদ করিনার ব্রেকাপ হওয়ার পর থেকে দুজনের কেওই এই ব্যাপারে মুখ খোলেননি। এই নিয়ে চলেছিল বিভিন্ন গুঞ্জন। অবশেষে ব্রেকাপ এর কারন নিয়ে মুখ খুললেন করিনা। এক সাক্ষাৎকারে করিনা বলেন, “নিয়তিই অন্য দিকে নিয়ে গিয়েছিল”।
‘জব উই মেট’-এর সেটেই নাকি উল্টে গিয়েছিল সমীকরণ। প্রথমে নাকি ওই ছবি করতে সটান না বলে দিয়েছিলেন করিনা। জোর করেন শাহিদই। তাঁদের প্রেম তখন জমাটি। তাই না করতে পারেননি তিনি। সিনেমাও সুপারহিট। পর্দায় গীত-আদিত্যর বিয়ে হলেও শাহিদ-করিনা আলাদা হয়ে যান হঠাৎই।
এদিকে তখন করিনার জীবনে অন্য পুরুষ। ছোটে নবাব সইফ আলি খান। চলছে ‘তাসান’-এর শুটিং। আর সঙ্গে করিনার জিরো ফিগার। বক্স অফিসে সে ছবি দাগ কাটতে পারেনি। মুষড়ে পড়েছিলেন করিনা। ডুবে গিয়েছিলেন হতাশায়। তাঁর কথায়, “ভেবেছিলাম তসনআমার কেরিয়ার বদলে দেবে। কিন্তু হল ঠিক উল্টো। ‘জব উই মেট’ আমার কেরিয়ার বদলে দিয়েছিল। আর ‘তাসান’ আমার জীবন।”
শাহিদ একবার বলেছিলেন তাঁদের দু’জন দুই মেরুর। ঠিক যেন ‘জব উই মেট’-এর গীত এবং আদিত্য। একদিকে আবেগপ্রবণ, বকবকে করিনা আর অন্যদিকে শান্ত, ধীর শাহিদ। বিচ্ছেদের পর তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কও ঠেকেছিল তলানিতে। ব্যক্তিগত ভিডিয়ো ফাঁস দীর্ঘদিন কথা বন্ধ...সময়ের সঙ্গে বদলেছে সমীকরণ। ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবিতে দু’জনে একসঙ্গে কাজও করেছেন। সাংসারিক জীবনেও খুশি তাঁরা। ২০১২-তে ছোটে নবাব সইফ আলি খানের সঙ্গে বিয়ে হয় করিনার। ২০১৫-তে শাহিদ গাঁটছড়া বাঁধেন মীরা রাজপুতের সঙ্গে।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel