টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে বিমানে উঠতে না দেওয়া নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। তবে আমরা সে বিষয়ে না গিয়ে বিমানে ওঠার বেসিক নিয়ম কি কি ? আজকে জেনে নেওয়া যাক!

১) আপনার গন্তব্যস্থল অর্থাৎ আপনি যেখানে বিমানে যেতে চান সেখানে যাওয়ার টিকিট কাটার কাজ শেষ হয়ে গেলে, যাওয়ার দিন আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন- ভিসা, পাসপোর্ট, ভ্রমণ রিলেটেড কাগজপত্র ব্যাগে ঢুকিয়ে নিন। অবশ্য দেশের বাইরে ভ্রমণের জন্য আপনার ভিসা ও পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে। তবে দেশের মধ্য বিমান ভ্রমণের জন্য আপনার এতো কাগজপত্র লাগবে না। টিকেট ও কেবল মাত্র আপনার কোনও একটি আইডি কার্ড এর কপি হলেই চলবে।

২) বিমান বন্দরে ঢোকার পর প্রথমেই চেক ইন করতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে কোথাও গেলে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১ ঘণ্টা আগে বিমান বন্দরে পৌঁছতে হবে। বেশির ভাগ সংস্থা অন্তত ২ ঘণ্টা আগে পৌঁছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কারণ চেক ইন করতে বা নিরপত্তা যাচাইয়ের ধাপ পেরোতে অনেক লম্বা লাইন পড়তে পারে। টার্মিনালের মনিটর ও বোর্ডের দিকে খেয়াল রাখুন। সেখানে নাম এলে আপনাকে টিকিট, পরিচয়পত্র, ভ্রমণ সংক্রাম্ত কাগজপত্র দেখাতে হবে। দু’ ভাবে ব্যাগপত্র নিয়ে যাওয়া যায়। বড় মাল বা চেক ইন লাগেজ এখানে দিয়ে দিতে হয়। মাথাপিচু কতটা ওজনের মাল দেওয়া যাবে তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিমানসংস্থার নিয়ম অনুযায়ী। সাধারণত ১৫ বা ২৫ কেজি অবধি মাল বিনামূল্যে নেওয়া যায়। তার বেশি বলে কেজি পিছু বাড়তি টাকা দিতে হয় এই কাউন্টারেই। দ্বিতীয় ধরনের মালকে বলা হয় কেবিন লাগেজ বা হ্যান্ড লাগেজ। তা নিজের সঙ্গে নিয়ে বিমানে ওঠা যায়। চেক ইন হয়ে গেলে বোর্ডিং পাস দেওয়া হবে।

৩) চেক ইন হয়ে গেলে সেখান থেকে যেতে হবে নিরাপত্তা যাচাই বা সিক্যুরিটি চেক-এর জন্য। এখানে সব কাগজপত্র, বিমানের টিকিট, বোর্ডিং পাস ফের আর এক বার মিলিয়ে নেওয়া হবে। নারী-পুরুষ আলাদা করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষী ‘বডি চেক’ করেন। এখানে স্ক্যান করতে যাওয়ার আগে হ্যান্ড লাগেজ স্ক্যান করার জন্য ট্রে-তে রাখতে হয়। স্ক্যানে দেওয়ার আগে যাবতীয় বৈদ্যুতিন জিনিস যেমন ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল ফোন, চার্জার, মাউজ— সব ব্যাগ থেকে বার করে আলাদা রাখতে হয়। চামড়ার ওয়ালেট, বেল্টও ট্রে-তে রেখে তবেই স্ক্যান করতে দিতে হয়। কোনও জিনিস নিয়ে যাওয়ার অনুমতি না পাওয়া গেলে সেখানেই তা বের করে দিতে হয় সিকিউরিটির কাছে।

৪) নিরপত্তা যাচাই হয়ে গেলে বোর্ডিং পাস দেখে নম্বর মিলিয়ে বোর্ডিং গেটে যেতে হয়। বোর্ডিং শুরু হলে ফের এক বার বোর্ডিং প্যাস যাচাই করে ষ্ট্যাম্প দেওয়া হবে। বোর্ডিং গেট থেকে বিমানে পৌঁছনোর জন্য এয়ার বাস থাকে। কিংবা লম্বা টানেলের মতো সিঁড়ি অনুসরণ করেও যাওয়া যেতে পারে। বিমান ওড়ার ৪৫ মিনিট আগে বোর্ডিং গেট বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর বিমান নির্দিষ্ট সময়ে উড়ে যাবে। তবে কুয়াশা বা অন্য কোনও কারণে বিমান উড়তে দেরি হতে পারে। আর বিমানে ওঠার পর কি কি করণীয় এয়ার হোস্টেসরা সব দেখিয়ে দেন।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: