রাজনীতিতে তিনি ‘ট্রাবলশুটার’, ‘ক্রাইসিস
ম্যানেজার’। আবার তিনি কিং
মেকারও। কিন্তু এত কিছুর পর তাঁর প্রথম ভালো লাগা ছিল ক্রিকেট। ক্রিকেটর প্রতি
ভালবাসা ছোটবেলা থেকেই। কলেজ জীবনে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। কিন্তু রাজনীতিতে
ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়ে সেভাবে ব্যাট হাতে মাঠে নামেননি ক্রিকেটার অরুণ জেটলি।
তবে নিষ্ঠাবান ক্রিকেট প্রশাসকের ভূমিকায় তাঁর জুড়ি মেরা ভার ছিল। বিসিসিাই-এর সহ
সভাপতি ছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালে আইপিএল কেলেঙ্কারির পর সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
তবে ১৩ বছর ডিডিসিএ অর্থাত দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের
প্রশাসক ছিলেন তিনি। তাই অরুণ জেটলির মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিসিসিআই আর
ডিডিসিএ-তেও।
উল্লেখ্য, ৯ অগাস্ট গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির
এইমসে ভর্তি হলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই
হাসপাতালে পোঁছে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। পরেন দিন গিয়েছিলেন
উপরাষ্ট্র্পতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুও। সময়ের সঙ্গে অরুণ জেটলির অবস্থার উন্নতি খুব একটা
হয়নি। বরং ক্রমশই খারাপ হচ্ছিল শরীর। লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে ২৪
অগাস্ট দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করনে এই দূরদর্শী নেতা ও ক্রিকেট
প্রেমিক।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে যখন প্রবল মোদী হাওয়া তখন তিনি পরাজিত হয়েছেন। তবুও তিনি মোদী জমানার ঘনিষ্ঠ বত্তেই ছিলেন। ছিলেন অর্থমন্ত্রী হিসাবেই। তবে রাজনীতিতে হাতে খড়ি জরুরি অবস্থায় জেলে যাওয়া থেকে। ১৯ মাস জেলে কাটিয়েছেন। তবে যাঁদের সঙ্গে জেলে কাটিয়েছেন তারপর থেকে তাঁর জীবনদর্শনই পাল্টে গিয়েছে। জেলে ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, নানাজি দেশমুখের মতো প্রবাদ প্রতিম নেতারা। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে এবিভিপি’র সর্বভারতীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওকালতির মতো সমান্তরাল গতিতে এগিয়ে নিয়ে গেছেন রাজনীতিকেও। তবে নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে সাফল্য তাঁর খুব একটা আসেনি। শেষ বার ভোটে জিতেছিলেন ১৯৭৪ সালে দিল্লির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। পরের চারদশক অবশ্য তিনি ব্যাকরুম স্ট্র্যাটেজিস্ট ছিলেন পার্টির জন্য। নির্বাচনের জন্য প্রচার কৌশল এবং রণকৌশল তৈরির কারিগর ছিলেন তিনি।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel