বোধনের সন্ধ্যায় ভিড় সামাল দিয়ে শহরকে সচল রেখেছিল লালবাজার। সপ্তমীর বিকেলে পুলিশকে কার্যত ‘বাউন্সার’ দিল বৃষ্টি। এ দিন এমনিতেই ষষ্ঠীর তুলনায় ভিড় বেশি ছিল। তার উপরে বৃষ্টি নামায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। তবে সন্ধ্যার পরে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরে উৎসবের শহর। রাত গড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে লালবাজার।
শনিবার সকাল থেকেই শহরে পুজোর ভিড় ঢুকতে শুরু করেছিল। শহরতলি বা জেলা থেকে এক-একটি ট্রেন শিয়ালদহ, হাওড়ায় ঢুকে ভিড় উগরে দিয়েছে। সেই ভিড় বিভিন্ন মণ্ডপের দিকে রওনা দিয়েছে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় উত্তর ও দক্ষিণে ভিড় টানাটানির টক্কর হলেও সপ্তমীর রাতের হিসেব বলছে, দক্ষিণ কলকাতাই লোক টানার লড়াইয়ে এগিয়ে গিয়েছে। পুলিশের হিসেবে, রাসবিহারী চত্বরেই ভিড় সব থেকে বেশি। চেতলা অগ্রণীর মণ্ডপ দেখতে পিলপিল করে লোক ঢুকেছে। ত্রিধারা সম্মিলনী, দেশপ্রিয় পার্কের ভিড়ের দাপটে হাজরা রোড, শরৎ বোস রোড, রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে যান চলাচল বারবার থমকেছে। ভিড় টেনেছে নিউ আলিপুর সুরুচি সঙ্ঘ, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘও। একডালিয়া সন্ধ্যায় ভিড়ের দাপটে কার্যত পরিস্থিতি বিগড়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তাও সামাল দিয়েছে পুলিশ।
বাগবাজার সর্বজনীন, কলেজ স্কোয়ার, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের হাত ধরে ভিড় টানার প্রতিযোগিতায় লড়েছে উত্তর কলকাতা। সন্ধ্যার পর আহিরিটোলা, কুমোরটুলিতেও থিকথিকে ভিড়। নলিন সরকার স্ট্রিট, হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা পার্ক প্রত্যয় রাতে লম্বা লাইন পড়েছে।
হাওয়া অফিস বলছে, আজ, অষ্টমীতেও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আজ সন্ধ্যায় ভিড়ও বাড়বে। আজ রাতে কি হয় তা সময়ই বলবে।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel