জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মেডিক্যাল স্টাফরা বুমরার চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন। জানা গিয়েছে, বারবার ভোগানো এই চোট সারাতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা। এও জানিয়েছিলেন, গত বছর অগাস্ট মাসে স্ট্রেস রিয়্যাকশন থেকে এই সমস্যার উৎপত্তি। এনসিএ এবং বুমরার সঙ্গে কথা বলে খুব শীঘ্রই পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানাবে বিসিসিআই (BCCI)। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে একদিনের বিশ্বকাপের (World Cup) আগে তাঁকে ১০০ শতাংশ সুস্থ করাই লক্ষ্য।
একাধিকবার ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন ভারতের এক নম্বর পেসার। অগাস্ট মাসে চোট পাওয়ার পর এশিয়া কাপ (Asia Cup) থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে সময় চোট তেমন গুরুতর মনে হয়নি, ১২ সেপ্টেম্বর ঘোষিত টি২০ বিশ্বকাপের দলে তাঁর নামও ছিল। এমনকী অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে ২৩ এবং ২৫ সেপ্টেম্বর দুটি টি২০ ম্যাচে খেলেছিলেন বুমরা।
কিন্তু তার তিনদিন পর তিরুবনন্তপুরমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি২০ ম্যাচে তিনি ছিলেন না। জানা যায়, স্ট্রেস সংক্রান্ত চোটের জন্য তাঁকে স্ক্যান করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পরের দিনই এনসিএ-তে নিয়ে যাওয়া হয় বুমরা, করা হয় একের পর এক স্ক্যান। তখনওই বোঝা যায়, চোট গুরুতর।
নভেম্বর মাসে রিহ্যাবে যোগ দেন তিনি এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বোলিং করতে শুরু করেন। এরপর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সীমিতি ওভারের ফর্ম্যাটের খেলায় তাঁকে দলে নেওয়া হয়। এনসিএ-তে ম্যাচ সিমুলেশনে ঠিকঠাক খেললেও মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত একটি ফিটনেস ড্রিলে অসুবিধে বোধ করেন বুমরা। দেখা যায়, ওয়ার্কলোড বেশি হলে তা নিতে পারছেন না তিনি। এরপরেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থেকে তাঁর নাম বাদ। মনে করা হয়েছিল, আইপিএলে ফিরবেন বুমরা, কিন্তু তাও হল না।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel