কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে অপ্রতিরোধ্য মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবার নিজেদের মাঠে তারা ২-০ গোলে হারিয়ে দিল ইউনাইটেড স্পোর্টসকে। গোল করলেন নংডোম্বা নাওরেম ও সুহেল ভাট। বৃহস্পতিবার ডুরান্ড কাপের ম্যাচে বাংলাদেশ আর্মিকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগান। সেই দলের অনেককেই এদিন প্রথম একাদশে রেখেছিলেন কোচ বাস্তব রায়। তাঁর ছেলেরা একটু ক্লান্তিতে ভুগলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে গিয়েছে এবং গোল না খেয়েই। প্রথমার্দ্ধেই অবশ্য গোল খেতে পারত মোহনবাগান। গোলকিপার আর্শ আনোয়ার গোললাইন ছেড়ে অনেকটা এগিয়ে এসেছিলেন। ইউনাইটেডের এক ফুটবলার দূর থেকে শট নেন। তবে তা গোলের অনেক দূর দিয়ে চলে যায়।

মোহনবাগানের খেলার মধ্যে আগ্রাসনের অভাব দেখা যাচ্ছিল। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ইউনাইটেড ফুটবলাররা ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু খেলার গতির বিরুদ্ধে মোহনবাগান এগিয়ে যায়। ২৮ মিনিটে গোল করেন নাওরেম নংডোম্বা। ইউনাইটেডের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে দূর পাল্লার শটে গোল করেন তিনি। ৩৫ মিনিটে গোল খেয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। ইউনাইটেডের দী্পেশ মুর্মুু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমার্দ্ধে ইউনাইটেড বেশ ভাল খেললেও গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে খেসারত দেয়।

দ্বিতীয়ার্দ্ধেও ইউনাইটেড তেড়ে ফুঁড়ে খেলতে থাকে। কিন্তু গোলে বল ঢোকাতে পারেনি। ৬৮ মিনিটে নাওরেমের শট বাঁচিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলকিপার। পরের মিনিটেই দিনের সহজতম সুযোগ নষ্ট করে ইউনাইটেড। আবার গোল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন আর্শ আনোয়ার। তখন ইউনাইটেডের বাহাদুর গুরুংয়ের পায়ে বল। কিন্তু সামনে ফাঁকা গোল পেয়েও বল রাখতে পারেননি গোলে। পরের দিকে আরও একটি সুযোগ নষ্ট করে ইউনাইটেড। সেই সুযোগ নষ্টের কেসারত দিতে হয় তাদের। খেলার বিপরীতে বল পেয়ে ১৮ গজ দূর থেকে জোরালো শটে গোল করেন সুহেল। কলকাতা লিগে কাশ্মীরী ফুটবলারের এটি অষ্টম গোল।

এদিনের অন্য ম্যাচে ডায়মন্ডহারবার ্এফ সি এবং পিয়ারলেসের মধ্যে খেলাটি ১-১ গোলে শেষ হয়। এর ফলে ৭ ম্যাচে ডায়মন্ডহারবারের পয়েন্ট ১৭। আর ৬ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ১৬।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: