শুক্রবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ফের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে বসানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। সূত্রের খবর, বৈঠকের আগে মমতা ও অভিষেকের মধ্যে একান্তে কথা হয়। বৈঠকে অভিষেকের উপরেই আস্থা রাখলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।

এদিন বিকেল ৫টায় ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বসে তৃণমূলের নবগঠিত কর্মসমিতির বৈঠক। এই বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ''সর্বভারতীয় সহ সভাপতি যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সর্বভারতীয় কোষাধ্যক্ষ হলেন অরূপ বিশ্বাস। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্বন্বয়য়কারী হিসেবে থাকছেন ফিরহাদ হাকিম। বৈদেশিক ও অর্থনৈতিক নীতি পলিসি গঠন করবেন যশবন্ত সিনহা, অমিত মিত্র প্রমুখরা। জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়। রাজ্যসভা এবং লোকসভায় মুখপাত্র হিসেবে থাকবেন যথাক্রমে সুখেন্দুশেখর রায় এবং ড. কাকলি ঘোষ দস্তিদার। উত্তরপূর্ব ভারতের দায়িত্বে থাকবেন সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক, মুকুল সাংমা। এছাড়াও জাতীয় স্তরে তৃণমূলের মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়, ড. কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং মহুয়া মৈত্র।''

প্রসঙ্গত, এক ব্যক্তি এক পদকে ঘিরে সম্প্রতি দলের অন্দরে ঝড় উঠেছিল। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো নানা চর্চা শুরু হয়েছিল। এরপরই কমিটি কার্যত ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর জল্পনা একেবারে তুঙ্গে ওঠে। এদিকে তৃণমূল ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে পা ফেলতে শুরু করেছে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতীয় রাজনীতির রাশ কে ধরবেন, কতটা সংগঠিত হবে এই কমিটি তা নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে। তবে শুক্রবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে একেবারে গুছিয়ে কমিটি তৈরি করলেন মমতা।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: