একদিকে যখন ঘূর্ণিঝড় 'মোকা' (Moche) নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে, অন্যদিকে তখন প্রখর তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার (Temperature) পারদ। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather office) । আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এবং মায়ানমার অভিমুখী এই ঘূর্ণিঝড় গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ এবং পশ্চিমাঞ্চল থেকে সমস্ত জলীয় বাষ্প শুষে নিচ্ছে। ফলে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল চলাকালীন বাংলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে রাজ্য জুড়ে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে। কলকাতার তাপমাত্রা হবে প্রায় ৪০ ডিগ্রি।

মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ২৩ থেকে ৮৪ শতাংশের মধ্যে। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। কলকাতায় আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। পারদ চড়তে পারে ৪০ ডিগ্রির ঊর্ধ্বে। দিনের বেলা লু বইবে শহরে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই।

মঙ্গলবার তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। ১০ মে বুধবার তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। বুধবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা থাকবে উত্তরবঙ্গের মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গে রীতিমত লু-এর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় আগামী কয়েক দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের নীচের দিকের জেলা যেমন উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে আবহাওয়ার পরিবর্তন। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই এই তিন জেলাতে। ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রা। লু বইবে মালদহ, দুই দিনাজপুরেও।

মৌসম ভবন জানাচ্ছে, গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই ঝড় মূলত উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ১২ তারিখ নাগাদ এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিক এবং মায়ানমারের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আপাতত এই সিস্টেমের জেরে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন তা জারি থাকবে। বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে নিম্নচাপটি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: