'একজনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিলাম। আমাদের দল খুব কঠোর দল। অনেক কষ্ট করে রাজনীতিটা করি।' পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নাম না করে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের পর এটাই প্রথম প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রকাশ্যে কিছু না বললেও পরে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনডাস্ট্রিয়াল বোর্ড’-এর বৈঠকে তিনি নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠনের কথা জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে ছিল শিল্প-বাণিজ্য, পরিষদীয়, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প পুনর্গঠন এই ৪টি দফতর। সব দফতর থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আপাতত সবকটি দফতরই এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাতে এল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর আজই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। ওই বৈঠকের পরই পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়।

পার্থের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই রাজ্যে মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানোর দাবি ওঠে তৃণমূলের অন্দরে। এমনকি বিরোধীরাও সোচ্চার হয়েছিল। অবশেষে এদিন মন্ত্রসভার বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। নবান্নের দোতলায় ছিল মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘর। এই দোতলাতেই প্রেস কর্নার। ঠিক তার উল্টোদিকেই ছিল মন্ত্রী প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা পরবর্তীতে শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রীর ঘর। বৃহস্পতিবার বিকালে সেই ঘরের দরজা থেকে খুলে ফেলা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেমপ্লেট।


পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিষেক বলেন, ‘‘তদন্ত যতদিন না শেষ হবে, ততদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় দল থেকে সাসপেন্ড থাকবেন। উনি আইনের চোখে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে পারলে তখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: