একটা দল তিন ম্যাচ খেলে তিন ম্যাচ হেরেছে। আর একটা দুই ম্যাচে দুই ম্যাচে হেরেছে। ছোটবেলায় যেমন বলতাম, সেরকম দুই ‘হেরোপার্টি’ মুখোমুখি হয়েছিল। হেরোপার্টি শব্দটা খুবই অসম্মানজনক, কারণ দুই দলের দুই ক্যাপ্টেন আসলে চ্যাম্পিয়ন। একদিকে ফর্ম হারানো রোহিত শর্মা, অন্যদিকে কেরিয়ারের সায়াহ্নে চলে যাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার। ফর্ম ফিরে পেলেন রোহিত। ওয়ার্নার পাননি। হাফ সেঞ্চুরি করলেও তা আইপিএলের যোগ্য নয়। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল চলছে, ২০২৩ বিশ্বকাপের নেট প্র্যাক্টিস করছেন অজি ব্যাটার। ওয়ার্নার তো তবু একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। পৃথ্বী শ আবার ব্যর্থ।

এই সমস্ত কিছু চাপা পড়ে গেল ম্যাচের উত্তেজনায়। আবারও একটা টানটান, উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হল। নিষ্পত্তি হল শেষ বলে। মুম্বই জিতল ৬ উইকেটে। স্কোরবোর্ড কখনও এই ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বোঝাতে পারবে না। এক বলে দুই রান বাকি, আনরিখ নরখিয়া আগুন ঝরাচ্ছেন, টিম ডেভিড আর ক্যামেরন গ্রিন দুই দীর্ঘদেহী কোনও মতে বড় পা ফেলে বেঁচে গেলেন।

ম্যাচের চাবিকাঠি ছিল রোহিতের হাতে। কিন্তু প্রায় গেমচেঞ্জার হয়ে গেলেন দুই বাঙালি। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে দুরন্ত ক্যাচ ধরলেন উইকেট কিপার অভিষেক পোড়েল। একসময় ভারতে সেরা সেরা গোলকিপার আমদানি করত বাংলা। এখন ক্রিকেটের যুগে কি উইকেটকিপার জোগান দেবে বাংলা? যাক সে কথা।

বাংলার পেসার মুকেশ কুমারই আসলে ডোবালেন। মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ ফস্কালেন টিম ডেভিডের। তার আগে মারও খেলেন এলোপাথাড়ি। তবে সূর্যকুমার যাদবকে আউট করলেন। আইসিসি র্যা ঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটার আজ প্রথম বলে আউট হয়ে গেলেন। তবে এত কিছু করেও শেষরক্ষা করতে পারল না দিল্লি। একদিনে টিম ডেভিড অন্যদিকে ক্যামেরন গ্রিন, দুজনেই বিগ হিটার।  

বিসিসিআইয়ের নতুন বছরের চুক্তি তালিকায় এ প্লাস ক্যাটাগরিতে আছেন জশপ্রীত বুমরা। বছরে সাত কোটি টাকা পাবেন। তিনি কবে ভারতের হয়ে খেলবেন কোনও ঠিক নেই। এ ক্যাটাগরিতে আছেন অক্ষর প্যাটেল। বছরে পাঁচ কোটি পাবেন। অক্ষর পারফর্ম করেই চলেছেন, সে আইপিএলে হোক না ভারতের হয়ে টেস্ট কিংবা ওয়ান ডে কিংবা যাই হোক। তাঁর এ প্লাস-এ আসা উচিত।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: