পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চরণজিৎ সিংহ চান্নি। শনিবার অমরেন্দ্র সিংহের পদত্যাগের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসাবে একাধিক নাম উঠে আসছিল, সেই তালিকায় ছিলেন অম্বিকা সোনির মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতাও। মূল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে উঠে আসে সুখজিন্দর সিংহ রনধাওয়ার নামও। যদিও কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিধায়কদের বৈঠকে সুখজিন্দরের নাম নিয়ে আপত্তি জানান কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক। তাতেই শেষ পর্যন্ত উঠে আসে চরণজিতের নাম। চূড়ান্ত সিলমোহর দেয় পাঞ্জাব কংগ্রেস।

কিন্তু কে এই চরণজিৎ সিংহ চান্নি ?
* বরাবরই ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ চান্নি। সিস্টেমে বদল এনেছিলেন তিনি। নিজেই নিজের গাড়ি চালাতেন, ছিল না চালক। টোল ট্যাক্সও দিতেন, ভিআইপি সংস্কৃতির ধার ধারেননি

* দলিত শিখ নেতা চরণজিৎ সিং চান্নি

* তৃণমূল স্তরের নেতা চান্নি

* ২০০০ সালে কংগ্রেসের টিকিটে পুরভোটে জিতে যাত্রা শুরু চান্নির

* ২০০৭ সালে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নির্দল দাঁড়িয়ে জেতেন। তারপর শিরোমণি অকালি দলের সমর্থন পেয়ে মনপ্রীত বাদলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিতি পান

* ২০১০ সালে ক্যাপ্টেনের কথায় ফের কংগ্রেসে ফেরেন চান্নি। তারপর দলের শীর্ষ নেতা সি পি জোশীর সংস্পর্শে আসেন। জোশী তখন রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ছিলেন।

* ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পঞ্জাব বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন

* ২০১৭ সালের মার্চ মাসে তিনি ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহর মন্ত্রিসভায় আসেন

* ২০১৮ সালের অক্টোবরে চান্নি বিতর্কে জড়ান। এক মহিলা আইএএস অভিযোগ করেন, চান্নি নাকি তাঁকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়েছেন। তখন অমরিন্দর পাশে দাঁড়াননি চান্নির। প্রতিশোধে ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন চান্নি। তখন সরকারও চান্নির বিরুদ্ধে সেই যৌন নিগ্রহ মামলা ফের খুঁচিয়ে তোলে। কিন্তু ক্যাপ্টেনের হস্তক্ষেপেই মামলা থেকে রেহাই পান চান্নি

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: