আজ বিকেল ৩টার মধ্যে সিবিআই অফিসে হাজির হতে হবে মন্ত্রীকে। রুল ইস্যু করার আগে এটাই শেষ সুযোগ মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। যদি তিনি সেটা না করেন, তাহলে বিকেল ৩টের পর আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এখনও সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি পরেশ। এই ঘটনা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করানোর পর বৃহস্পতিবার সকালেই সিবিআইকে মামলার নোটিস পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ পরেশকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত হাজির হননি তিনি। পরেশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস জারির ভাবনাচিন্তা চলছে বলে আগেই জানা গিয়েছিল।

অভিযোগ উঠেছে, পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী যোগ্য প্রার্থীকে ডিঙিয়ে চাকরি পেয়েছেন। মঙ্গলবার আদালতে এই সম্পর্কিত তথ্য জানিয়েছিলেন এসএসসির সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। হাইকোর্ট সূত্রে পাওয়া শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী এবং মেয়ে অঙ্কিতার মামলার শুনানির জন্য বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চকে নির্দিষ্ট করেছেন প্রধান বিচারপতি। মন্ত্রী ও রাজ্যের আবেদন সবটাই শুনবেন বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়েকে কোনও পার্সোনালিটি টেস্ট ছাড়াই SSC-তে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে SLST-র মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ করে SSC। সে বছর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে চাকরি পান খোদ রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা। কীভাবে? অভিযোগ, যাঁদের নাম মেধাতালিকায় ছিল, প্রথমে তাঁদের  Ranking Card দেওয়া হয়েছিল। এরপর স্রেফ দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা নয়, তাতে আবার মন্ত্রীর মেয়ের নাম যুক্ত করা হয়। ফলে মেধাতালিকায় থাকা অন্য কর্মপ্রার্থীরা পিছিয়ে পড়েন। কীভাবে এমনটা হল? হাইকোর্টে মামলা শুনানিতে SSC-র সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, "মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৬। পার্সোনালিটি টেস্ট ছাড়াই তাঁর নাম তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।"

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: