জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া বন্ধ করা নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের সরব হলেন মোদী। বললেন এ নিয়ে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থার রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়। কূটনীতিকদের মতে, পাকিস্তানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী চিন ও আমেরিকাকেও বার্তা দিয়েছেন।
পাশাপাশি অন্য একটি বৈঠকে একই টেবিলে বসা পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সামনেই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ জোগান বন্ধ করা নিয়ে সরব হয়েছেন।
ধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাসবাদ এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে কৌশল রচনা সংক্রান্ত একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার কাছে পাকিস্তান বা তার মিত্র দেশ চিনের নাম না করে মোদী জঙ্গিদের হাতে অর্থ পৌঁছানো নিয়ে সরব হয়েছেন। আগামী মাসেই প্যারিসে বসছে জঙ্গিদের পুঁজি জোগানের উপরে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ-র বৈঠক। সেখানে কালো তালিকায় চলে যাওয়ার খাঁড়া ঝুলছে ইমরান খান সরকারের উপরে। ধারাবাহিক ভাবে বড় বড় দেশগুলির সঙ্গে প্রাণপণ দৌত্যও চালিয়ে যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। উদ্দেশ্য ওই খাঁড়ার কোপ থেকে রক্ষা পেয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের একটি বড় অঙ্কের ঋণ হস্তগত করা। কূটনীতিকদের মতে, ঠিক এই জায়গাতেই আঘাত হানতে চাইছে ভারত।
বৈঠকের পর বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব গীতেশ শর্মা বলেন “জঙ্গিরা যাতে কিছুতেই অর্থ এবং অস্ত্র না পায় তা নিশ্চিত করার পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভাল জঙ্গি বা খারাপ জঙ্গি বলে যে কিছু হয় না সে কথা ওই বৈঠকে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাকে বলেছেন তিনি।”
গীতেশ বলেছেন ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকা এবং এফএটিএফ-র ব্যবস্থাকে জোরদার করার পক্ষে সওয়াল করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।”
click and follow Indiaherald WhatsApp channel