জুন মাসে বর্ষার (Rain) আগমন ঘটলেও বৃষ্টির মুখ সেভাবে দেখতে পায়নি দক্ষিণবঙ্গ। তবে অগাস্টের শুরুতে কিছুটা হলেও বৃষ্টির দেখা মিলছে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) একাধিক জায়গায়। রবিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবারও সারাদিন আকাশের মুখ ভার ছিল। কলকাতা (Kolkata) সহ বিভিন্ন জেলায় দিনভর হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ বৃষ্টি চলবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। চলুন জেনে নেওয়া যাক উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া।

কলকাতায় মেঘলা আকাশ থাকবে আগামী দুদিন। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। কলকাতাতে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আজও বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। ভারী বৃষ্টি না হলেও ৭০ থেকে ৮০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার বৃষ্টির পরিমাণ কমবে শহরে। বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির কারণে আপাতত কমেছে তাপমাত্রা। তবে বৃষ্টির জের কাটলে ফের তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। এদিন ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, নদিয়া ,পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলায়। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা।

দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের উপরের ৫ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে। কয়েকটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এদিন। মঙ্গলবার অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া রয়েছে। উত্তর দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিং, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে অতিভারী না হলেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে সবকটি জেলাতেই হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার আপাতত উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।  শুক্রবার আপাতত আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমানে একটি মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থান রয়েছে ভাগলপুর, মালদা, মিজোরাম হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এর পাশাপাশি একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে উত্তর বাংলাদেশের উপর। ফলে বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর জলীয়বাষ্প তৈরি হচ্ছে। সেই জলীয়বাষ্প পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশ করছে। আর এর ফলেই বৃষ্টি নিয়ে কপাল খুলছে বাংলার। বর্তমানে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে কিছুটা হলেও বৃষ্টির ঘাটতি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: