রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভারত বিদ্বেষে ঠাসা বক্তৃতা দেওয়ার মধ্যেই কার্যত পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন বিশ্বকে। যদিও তিনি বলেন  ‘‘আমি কোনও হুমকি দিচ্ছি না, কিন্তু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকেও ভাবতে হবে, তারা ১৩০ কোটি মানুষের ভারতীয় বাজারকে তোষণ করবে, না নিরপরাধ নির্যাতিত মানুষের ন্যায়ের জন্য লড়বে? তা না-হলে ভাল আশা আপনারা করতেই পারেন, কিন্তু খারাপের জন্যও তৈরি থাকুন।’’ 

প্রায় আগাগোড়া ভারত-বিদ্বেষে ঠাসা বক্তৃতায় নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি গুজরাত দাঙ্গার কথা তুলে আক্রমণ করেছেন ইমরান। সঙ্ঘকে মিলিয়ে দিয়েছেন ফাসিস্তদের সঙ্গে। বলেছেন, ‘‘মিস্টার মোদী আরএসএসের আজীবন সদস্য। যে আরএসএস হিটলার-মুসোলিনির আদর্শে তৈরি। এরা জাত্যভিমানের উপাসক। আরএসএস ভারত থেকে মুসলিমদের মুছে ফেলার ‘জাতি-শোধন’ তত্ত্বে বিশ্বাস করে। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা গোলওয়ালকর এবং সাভারকরকে দেখুন। গুগল করলেই পাবেন। এই ঘৃণার মতবাদই গাঁধীকে হত্যা করেছিল। এই আদর্শই ২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে দিয়ে গুজরাতের মুসলিমদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করিয়েছিল। হিটলারের ‘ব্রাউনশার্ট’ বাহিনী দ্বারা অনুপ্রাণিত আরএসএসের গুন্ডাদের তিন দিন ধরে খোলা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন কংগ্রেসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, আরএসএস ক্যাম্পে জঙ্গি তৈরি হয়। এই ‘জঙ্গিরাই’ ২০০০ জনকে কেটে ফেলেছিল। ঘরছাড়া হয়েছিলেন দেড় লক্ষ মুসলিম।’’

 গত কাল তাঁর মন্ত্রী ভারতীয় সাংবাদিকদের দিকে ঘৃণা ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীরের খুনিদের সঙ্গে বসে আমি কথা বলি না।’’ইমরান খান আরও বলেন ‘‘প্রথাগত যুদ্ধ শুরু হলে যা-কিছু হতে পারে। যখন দু’টি পরমাণু শক্তিধর দেশ পরস্পরের মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়, তখন ফলাফল সীমান্তেই আটকে থাকে না। এখন এটা রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে পরীক্ষা, তারা কী চাইছে।’’

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: