টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ হারানোর পর থেকেই ক্রমাগত এনসিএলটি এবং এনসিএলএটি-র দরজায় কড়া নেড়েছিলেন সাইরাস মিস্ত্রি। অভিযোগ তুলেছিলেন, কর্পোরেট দুনিয়ার ইতিহাসে এমন অন্যায় ভাবে কাউকে সরানোর পদক্ষেপ বিরল। যা টাটাদের সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের টুঁটি টিপে ধরারই চেষ্টা। বুধবার সেই আবেদনেই সাড়া মিলল এনসিএলটি-র আপিল আদালতের (এনসিএলএটি) নির্দেশে। আর এমন ভাবে মিলল যে, টাটাদের সাম্রাজ্যে যথেষ্ট ঝাঁকুনি লাগল বলেই মনে করছে কর্পোরেট দুনিয়া। যে সাম্রাজ্যে চেয়ারম্যান এমেরিটাস রতন টাটা। এবং অতীতে যাঁর সঙ্গে বনিবনা না-হওয়াতেই গোষ্ঠীর শীর্ষ পদ ছাড়তে হয়েছিল মিস্ত্রিকে।

বুধবার ওই পদে মিস্ত্রিকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়ার পরে পালোনজি মিস্ত্রির ছেলের দাবি, ‘‘প্রমাণ হল আমিই ঠিক। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না-দিয়েই সরানো হয়েছিল।’’ তিনি বলেন, এটা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত জয় নয়। জয় সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদেরও। যে অংশীদারদের তোয়াক্কা না-করে নিয়ন্ত্রণের লাগাম নিজেদের হাতে নিতেই টাটা গোষ্ঠীর মূল সংস্থা টাটা সন্স ‘পাবলিক লিমিটেড’ সংস্থা থেকে নিজেদের ‘প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থায় বদলাতে চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। এ দিন অবশ্য সাইরাসকে হঠাৎ সরানোর সিদ্ধান্তকে বেআইনি তকমা দেওয়ার পাশাপাশি টাটা সন্সের প্রাইভেট সংস্থা হওয়ার প্রস্তাবও খারিজ করেছে আপিল আদালত। সেই 

সঙ্গে ফরমান, মিস্ত্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না তারা। যাঁর পরিবার পরিচালিত শাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীর হাতে টাটা সন্সের ১৮.৪%। 

টাটা সন্সের ‘চরিত্র’ বদলের চেষ্টার বিরুদ্ধে আপত্তি ছিল মিস্ত্রিদের। অভিযোগ ছিল, প্রাইভেট সংস্থা হলে যে কোনও সময় টাটা সন্সের শেয়ার হাতবদল করা যাবে না। যা সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের অন্যায় ভাবে দাবিয়ে রাখতে সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডারদের এক অসাধু চেষ্টা। টাটাদের দাবি ছিল, সংস্থার স্বার্থেই এই বদল জরুরি। শেষ পর্যন্ত যে দাবি অন্তত এনসিএলএটিতে চলা লড়াইয়ে ধুলিস্যাৎ হল। এ বার এই কাজিয়ায় জল কত দূর গড়ায়, অপেক্ষা তারই।

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: