আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর। অনেক মানুষের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম এবং জীবনের বিনিময়ে ভারতবর্ষ ১৯৪৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল ব্রিটিশ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে। আর স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার মহিলা বিপ্লবীদের (Women Revolutionaries) আরও একবার স্মরণ করে নেওয়া যাক - 

দু'কড়িবালা দেবী : নলহাটির ঝাউপাড়া গ্রামের খুব সাধারণ পরিবারের এক গৃহবধূ তিনি। ইংরেজদের দখলদারি মনোভাবকে মেনে নিতে পারেননি। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ স্পর্শ করে তাঁকেও। মনে মনে স্বদেশি মন্ত্রে দীক্ষিত হন তখনই। পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ হয় তাঁরই এক আত্মীয়, বিপ্লবী নিবারণ ঘটকের সঙ্গে। সম্পর্কে নিবারণের মাসি ছিলেন দুকড়িবালা। নিবারণের সূত্রেই ঝাউপাড়ার দুকড়িবালা দেবীর বাড়ি হয়ে ওঠে বিপ্লবীদের আখড়া। বিপ্লবীদলে দুকড়িবালা দেবী ‘মাসিমা’ নামেই পরিচিত ছিলেন। বিপ্লবীদের কাছ থেকে দুকড়িবালাও শিখে নেন বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রচালনার কলাকৌশল। ১৯১৪ সালের ২৬ আগস্ট কলকাতার রডা কোম্পানির জন্য পাঠানো ৫০টি জার্মান মসার পিস্তল এবং বহু সংখ্যক কার্তুজের বাক্স কলকাতা বিমানবন্দর থেকে লুট হয়। সশস্ত্র বিপ্লবীরাই এই অস্ত্র লুটের পিছনে ছিলেন। সেই লুট হওয়া পিস্তল ও কার্তুজের একটি বড় অংশ এসে পড়ে ঝাউপাড়ায়। সে-সব সামলে রাখার দায়িত্ব নেন দুকড়িবালা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অস্ত্র রাখার অভিযোগে ১৯১৭ সালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বিচারে দু’বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। তিনিই ছিলেন বাংলার প্রথম বিপ্লবী মহিলা, যাঁর ওই সময় অস্ত্র আইনে সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার : স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলার প্রথম মহিলা শহীদ। জন্ম ১৯১১ সালে। ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩২, চট্টগ্রামের পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান ক্লাবের ওপর হানা দেয় প্রীতিলতার নেতৃত্বে ১৫ জন বিপ্লবীর একটি দল। শুরু হয় গুলি বিনিময়, জখম হন প্রীতিলতাও। আহত অবস্থায় তাঁকে ধরে ফেলে ব্রিটিশ পুলিশ, কিন্তু তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বিষ খেয়ে প্রাণত্যাগ করেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: