দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে দূষণের মাত্রা। আর তাতেই হারিয়ে যাচ্ছে পতঙ্গ। আর মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে প্রজাপতি। আর দেখা যায় না আগের মতো। তবে এরাও কি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ? উত্তরগুলো প্রশ্নের মতো সহজ নয়। এই বিলুপ্তির পিছনে রয়েছে এক ও অদ্বিতীয় গ্লোবাল ওয়ার্মিং। রোজ, প্রতিদিন আমাদের স্বাভাবিক জলবায়ুর পরিবর্তন যতটা না প্রভাবিত করছে মানুষকে, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি করছে অন্যান্য জীবমহলকে।
বিজ্ঞানীদের মতে, অতিরিক্ত উষ্ণ আবহাওয়াই প্রজাপতি হ্রাসের অন্যতম কারণ। ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ২০ বছরের এই সময়কালে ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা প্রজাপতি ও নানা পতঙ্গ সম্পর্কে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করেছেন। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ডঃ কলাম ম্যাকগ্রিগারের মতে, যেহেতু প্রজাপতি সাধারণত উষ্ণতাপ্রিয়, সেহেতু তাঁরা অনুমান করেছিলেন যে বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের ফলে একটা বিরাট সংখ্যক প্রজাপতি স্থানান্তরিত হয়ে উপযুক্ত জায়গায় চলে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি। তিনি আরও বলেন যে, তাঁদের এই গবেষণার শিকড়টি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল প্রজাপতি ও মথের উত্থানের তারিখ পরিবর্তন ও তাদের ক্রমান্বয়ে জায়গা পরিবর্তনকে ভিত্তি করেই।
এটা আপাতভাবে ব্রিটেনের গবেষণা হলেও, এই প্রশ্ন কিন্তু জাগতে পারে বাঙালি মনেও। ক্রমশ নগরায়ণ ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে প্রজাপতি কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে চারপাশ থেকে? সহজে চোখে পড়ে না কেন নইলে?
click and follow Indiaherald WhatsApp channel