ডা: প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য


কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হসপিটাল, ইউ.কে

কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্তও ছবিটা ছিল অন্য রকম। প্রতিদিন দৈনিক সংক্রমণ কমছিল। দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফের বাড়তে শুরু করেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ ধীরে ধীরে ছড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, রবিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে, যা গত ৪ মাসে সর্বাধিক। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় ভারতে নমুনা পরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট ২৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ১১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার ৪.৯৭ শতাংশ মানুষের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার ৩.৮৭ শতাংশ মানুষের রিপোর্ট পজিটিভ।

এই পরিস্থিতিতে কী করণীয় দেশবাসীর ? কেমব্রিজ থেকে জানালেন ডা. প্রিয়দর্শিনী ভ্ট্টাচার্য!


তাঁর কথায়, যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না তাঁদের একটা কথা বুঝতে হবে, প্রায়  ১০০ বছর পুরনো মহামারীতে (১৯১৮ স্প্যানিশ ফ্লু), আমাদের দেশে অকল্পনীয় মৃত্যু মিছিলের অন্যতম কারণ ছিল  প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন না থাকা। আর আজ ভ্যাকসিন হাতে পেয়েও আমরা বিভিন্ন কারণে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। 

যেখানে পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যেখানে এখনও বিভিন্ন কারণে পৌঁছতে পারেনি ভ্যাকসিন। বলা হচ্ছে, মিউট্যান্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কাজ করবে না। তাই ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও লাভ নেই। 

এবিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, ভ্যাকসিন নিলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে শরীরে তা পরবর্তীকালে মিউট্যান্ট ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেও বাঁচাবে আপনাকে। ভাইরাস ধরলেও সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশির উপর দিয়ে পার পেয়ে যাবেন আপনি, মারাত্মক হবে না কোনও মতেই। তাই সুযোগ পাচ্ছেন যখন কালবিলম্ব না করে ভ্যাকসিন নিয়ে নিন। তবে অবশ্যই -

১) মাস্ক পরবেন

২) হাত স্যানিটাইজ করুন যথাযথ ভাবে

৩) সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনে চলার চেষ্টা করুন। 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: