কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের তাপমাত্রা (Temperature)। শীত বিদায়ের পর এবার বসন্তের আগমনী। রাজ্যজুড়ে শীতের হালকা আমেজ (Winter)। কলকাতার ছবিটাও একইরকম। বেলা বাড়তেই কুয়াশা সরে গিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে আকাশ। আগামী কয়েকদিন পারদ ঊর্ধ্বগামী হবে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে সোম ও মঙ্গলবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। আবহাওয়াবিদদের মতে, এর প্রভাব পড়বে ফসল উৎপাদনে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সকাল থেকে কুয়াশায় ঢেকে রেয়েছে। তবে বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিন এমনই পরিবেশ থাকবে। সকাল ও সন্ধ্যায় হালকা থেকে মাঝারি শীতের আমেজ উপভোগ করবে রাজ্যবাসী। তবে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।

এদিকে উত্তর-পশ্চিম ভারত, গুজরাত, রাজস্থান, গোয়া ও কর্ণাটকের উপকূল এলাকায় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রির আশেপাশে রয়েছে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ থেকে ৯ ডিগ্রি বেশি। আবহাওয়ার ওঠানামার কারণে ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


অন্যদিকে, তৈরি হতে চলেছে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স্কুলগুলির তালিকা। দেওয়া হবে অনুদানও। মঙ্গলবার বিধানসভায় (WB Assembly) জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। রাজ্য সরকার বিভিন্ন জেলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স্কুলগুলির তালিকা তৈরি করছে। ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতর শতবর্ষ প্রাচীন স্কুলগুলির তালিকা তৈরির কাজ শেষ করেছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এদিন বিধানসভায় তৃণমূলের সদস্য সুকান্ত পালের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতর ১০০ বছরের স্কুলের তালিকা তৈরি করেছে। ধাপে ধাপে সমস্ত প্রাচীণ ও ঐতিহ্যবাহী স্কুলের তালিকা তৈরি হবে। এরা প্রত্যেকেই সরকারি অনুদান পাবে। আবার বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক করতে রাজ্য সরকার আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: