কর্মসংস্থানমুখী বাজেট। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly) বাজেট (Budget) প্রস্তাবের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এমনই বললেন। এদিন বাজেট প্রস্তাব পেশ করার সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বলেন, আগামী দিনে বিপুল কর্মসংস্থান হবে। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে ৩ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আরও ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দেউচা পাঁচামিতে ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের আর্থিক ঋণ প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। যুব সমাজকে ঋণ দিতে তাতে ৩৫০ কোটি টাকা প্রকল্প চালু হচ্ছে। এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বাংলায় আইটি শিল্পের জোয়ার এসেছে। নজিরবিহীন বিনিয়োগ এসেছে। ইন্টারনেট অফ থিংস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে বিনিয়োগ এসেছে। তিনি এদিন বলেন, আগামী অর্থবর্ষের জন্য সামাজিক দায়বদ্ধতার নিরিখে ১.৮৮ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় এনেছি। তাঁরা ৬০ বছর পরেও ভাতা পাবেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে সোজাসুজি বার্ধক্যভাতায় চলে যাবেন। মাসে এক হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন।  তাছাড়া নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণে ২২ হাজার ২২৫.৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেটে নারীদের (Womens) আর্থিক ক্ষমতায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৩ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এবার বাজেটে বন বিভাগের জন্য ৯৭৬.২১ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। সুন্দরবন বিষয়ক বিভাগের জন্য ৬০৮.১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পর্যটনের (Tourism) জন্য ৪৯১.৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

এদিন বাজেট প্রস্তাবের সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের বাজেট বরাদ্দ কমিয়েছে ন্যক্কারজনকভাবে। বরাদ্দ কমিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। দেশের ভয়ঙ্কর বেকারত্বের কথা, মূল্যবৃদ্ধির কথা উচ্চারিত হয়নি কেন্দ্রীয় বাজেটে। যা পীড়া দায়ক। যে জন্য মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাজেটকে দরিদ্র বিরোধী বাজেট বলেছেন।
এদিকে এদিন এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। তিনি বলেছেন রাজ্য বাজেটে কর্মসংস্থানের কোনও দিশা নেই। এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ ফেরানো হবে কি না সেই বিষয়ে কিছু বলা নেই।  

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: