গ্লোবাল আইকোন হওয়ার দরুন বাড়তি কোন চাপ তিনি নেননা। সোজাসুজি বললেন “এই খেতাবের জন্য জোর করে কোনও দিন কিছু করিনি। আমি ভাগ্যবান, একজন শিল্পী সব সময়েই সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পেতে চায়। আমরা কথায় কথায় বলি, ‘মুভ অন’। সেটা কিন্তু খুব সহজ নয়। খারাপ সময় মানুষকে অনেক কিছু শেখায়। জীবনে ঠোক্কর খাওয়াও জরুরি। মা-বাবা আমাকে একটা কথা শিখিয়েছে, অলওয়েজ় স্পিক ইয়োর হার্ট। আমাদের দেশে মেয়েদের অনেক কিছু মানতে হয়। বিশেষত বিয়ের পর। কিন্তু সেটা কেন হবে! আমি সব সময়ে যেটা বিশ্বাস করেছি, সেটাই বলেছি”।
বর্ণবিদ্বেষএর শিকার তিনিও হয়েছিলেন। তিনি বললেন “ যখন স্টুডেন্ট ছিলাম, তখন ওখানকার মেয়েরা অনেক অত্যাচার করেছে। তখন ভয় পেতাম। কিন্তু এখন আমেরিকা আমাকে ভালবাসে, সম্মান করে। ভারত-আমেরিকার মধ্যে তুলনায় যাব না। ভারত আমার দেশ। প্রায় প্রত্যেক মাসেই এখানে আসি। তাই মিস করি বলা যাবে না। আমেরিকায় আমি নিককে (জোনাস) পেয়েছি। তার অনুভূতি আলাদা। তবে হ্যাঁ, ভারতীয় রান্না খুব মিস করি। ভারতীয় খাবারের নামে যেগুলো পাওয়া যায়, তার স্বাদ একেবারেই আলাদা”।
দীর্ঘদিন পরে বলিউডে কামব্যাক। বললেন “সত্যিই, দেখতে দেখতে তিন বছর হয়ে গেল! আমেরিকাতে যখন ‘কোয়ান্টিকো’ করছিলাম, তখন বছরে ১১ মাস শুটিং করতাম। বাকি সময়ে কোনও ফিল্মের শুটিং শেষ করা যায় না। তার পরে যতগুলো স্ক্রিপ্ট শুনেছিলাম তার মধ্যে ‘দ্য স্কাই ইজ় পিঙ্ক’ সবচেয়ে ভাল। গল্পটা বাস্তব থেকে নেওয়া। অদিতি এবং নীরেন চৌধুরী আর তাঁদের সন্তানদের গল্প নিয়ে ছবি। জন্ম-মৃত্যু খুব কঠিন সত্যি। সকলকে তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই ছবির বার্তাটাও খুব সুন্দর। মানুষটা যখন বেঁচে, তখন তার সঙ্গে জীবন সেলিব্রেট করো। সে চলে যাওয়ার পরে নয়”।
বিয়ের পর দুজনের মধ্যেই পরিবর্তন এসেছে। অকপটে বললেন “আগের চেয়ে আরও ভাল হয়ে গিয়েছি (হেসে)! নিক খুবই শান্তিপ্রিয়। আর আমি চঞ্চল। ওর সঙ্গে থাকতে থাকতে আমি আগের চেয়ে অনেক শান্ত হয়ে গিয়েছি।
নিক তো প্রথমবার ভারতে এসেই এ দেশের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। এখানে সকলের অ্যাটেনশন খুব উপভোগ করে ও। কুর্তা-পাজামা পরতে খুব ভালবাসে। ভারতীয় রান্না ভীষণ পছন্দের। তার মধ্যে পনির ওর ফেভারিট। আমাকে এখান থেকে বাড়িতে তৈরি করা ফ্রেশ পনির নিয়ে যেতে বলেছে। বুঝতে পারছেন তো, কী পরিমাণে ভারতীয় প্রভাব পড়েছে (হাসি)! নিকের ফ্যামিলি ঠিক যেন কোনও পঞ্জাবি পরিবার। সকলের মধ্যে ভীষণ ভালবাসা আর ইউনিটি। একটা সিক্রেট বলি। স্টেজে পারফর্ম করতে যাওয়ার আগে নিক বলিউড ফিল্মের গান শোনে”।
নিকের মহিলা ভক্তদের নিয়ে তাঁর বক্তব্য “এই ব্যাপারে আমরা দু’জনেই দু’জনকে ছাড় দিয়েছি। নিককে নিয়ে মহিলাদের মাতামাতি দেখে আমি তো ফ্ল্যাটার্ড হয়ে যাই। মনে মনে ভাবি, ও তো আমারই স্বামী। আর দিনের শেষে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে”।
নিজের বায়োপিক নিয়ে তাঁর বক্তব্য “নিজেকে অতটা গুরুত্ব আমি দিই না। নিজের মতো কাজ করে যেতে চাই। তবে কেউ বানাতে চাইলে আপত্তি করব না। আর আমি একটা বই লিখছি— ‘আনফিনিশড’। ২০২০-তে প্রকাশিত হবে। জীবনের কিছু ঘটনা, অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই”।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel