মেয়েকে বিয়ে করছে বাবা শুনে অবাক হলেন ! না অবাক হওয়ার কিছু নেই । সাত লাখ টাকায় নাবালিকা মেয়েকে বিক্রি করে অপহরণের গল্প ফেঁদেছিল অপদার্থ বাবা । কিন্ত পুলিশের তৎপরতায় রহস্য উন্মোচিত হল । পাঁচ মাস পরে ১৩ বছরের মেয়েকে পুলিশ যখন উদ্ধার করল তখনই বেরিয়ে এল সত্য ঘটনা । ঘটনাটি ঘটেছে  রাজস্থানের বারমেঢ় জেলায় । । ঘটনায় যুক্ত থাকায় কিশোরীর বাবা, ক্রেতা সানওয়ালা রাম দাসপা ও দালাল গোপা রাম মালিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হায়দরাবাদে ওই কিশোরীকে উদ্ধারের সময় গ্রেফতার হয়েছে সানওয়ালার ছেলে। তরুণীকে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।
বারমেঢ়ের সিওয়ান থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত ওই কিশোরীর কাকার তৎপরতাতেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কারণ তিনিই প্রথম সন্দেহ করে থানায় এফআইআর দায়ের করেন। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই কিশোরীর বাবা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও কিশোরীকে পুলিশ খুঁজে না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন কিশোরীর কাকা। আদালতের নির্দেশেই শেষ পর্যন্ত কিশোরীকে উদ্ধারে তৎপর হয় পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুন স্থানীয় গোপা রাম মালি নামে এক ব্যক্তি কিশোরীর বাবার কাছে সম্ভ্রান্ত পরিবারে কিশোরীর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। গোপার কথামতোই ওই পরিবারে সম্বন্ধ পাকা করতে মেয়েকে নিয়ে সিওয়ানে যান কিশোরীর বাবা। কিন্তু তিনি ফিরে আসেন একাই। তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে তিনি বলেন, মেয়েকে মামার বাড়িতে রেখে এসেছেন। এর পর ২৬ জুন কিশোরীর পরিবারের লোকজন সিওয়ানে গিয়ে জানতে পারেন, মেয়ে মামার বাড়িতে নেই। তখন বাবাকে চেপে ধরলে তিনি বলেন, রাস্তায় মেয়েকে অপহরণ করেছে দুষ্কৃতীরা। তার পরেই ওই কিশোরীর কাকা থানায় এফআইআর দায়ের করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ কিশোরীর বাবা এবং গোপাকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও পুলিশ কার্যত কিশোরীর কোনও হদিশ পায়নি। এর পর কিশোরীর কাকা আদালতে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ মামলা করেন। হেবিয়াস কর্পাসের অর্থ, বেআইনি ভাবে আটকে বা বন্দি করে রাখলে আদালতে সেই ঘটনা সম্পর্কে অবগত করা যায়। এই মামলা দায়েরের পরেই তদন্তে গতি আসে এবং হায়দরাবাদ থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সিওয়ান থানার স্টেশন হাউস অফিসার দাউদ খান বলেন, ‘‘দুই অভিযুক্তের সঙ্গে কিশোরীকে হায়দরাবাদ থেকে আমরা উদ্ধার করেছি। তাকে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর তাকে আমরা আদালতে পেশ করব।’’ কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও জানিয়েছেন দাউদ খান। জিজ্ঞাসাবাদে সাত লাখ টাকায় সানওয়ালার কাছে মেয়েকে বিক্রির কথা বাবা স্বীকার করেছেন বলেও দাবি পুলিশের।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: