৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত কিংবদন্তী পরিচালক তথা প্রযোজক যশ চোপড়ার(Yash Chpora) স্ত্রী পামেলা চোপড়া(Pamela Chopra)।বৃহস্পতিবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন পামেলা চোপড়া।মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে(Leelavati Hospital,Mumbai) ভর্তি ছিলেন যশপত্নী।সোশ্যাল সাইটে যশ রাজ ফিল্মসের তরফে পামেলা চোপড়ার মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়েছে।যশ রাজ ফিল্মসের এই অন্যতম কান্ডারীর প্রয়াণে শোকের ছায়া পড়েছে বলিপাড়ায়।বলিউডের সর্বকালের অন্যতম সেরা পরিচালক যশ চোপড়ার কেরিয়ারের শুরুর দিন থেকেই তাঁর ছবি তৈরির সঙ্গে ওতঃপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন পামেলা চোপড়া।যশজির বেশ কিছু ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন পামেলা। সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ড্রেস ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।এমনকি ছবিতে ক্যামিও রোলে অভিনয়ও করেছেন।খুব ভাল গানও গাইতেন পামেলা চোপড়া।যশ চোপড়ার একাধিক ছবিতে গান গেয়েছিলেন তিনি। যশজির প্রয়াণের পর থেকে যশ রাজ ফিল্মসের পরিচালনায় ছেলে আদিত্য চোপড়ার(Aditya Chopra) অভিভাবক ছিলেন পামেলা চোপড়া।অবশেষে চলে গেলেন তিনি।

কথায় বলে,কোনও পুরুষের সাফল্যের পিছনে থাকে একজন পুরুষের নীরব উপস্থিতি। সেই পুরুষ যদি যশ চোপড়া হন,তবে পরিচালক-প্রযোজকের সাফল্যের পিছনে যাঁর অবদান না বললেই নয়,তিনি পামেলা চোপড়া।কেরিয়ারের শুরুতে দাদা বি আর চোপড়ার জন্য ছবি তৈরি করতেন যশজি।বিয়ের পর স্ত্রীর অনুপ্রেরণা পেয়েই নিজে ছবি প্রযোজনা করার পরিকল্পনা করেন। বিয়ের পর যশ চোপড়া দাগ এর মতো দুর্দান্ত রোম্যান্টিক ছবি নির্মাণ করেন।পরিচালক-প্রযোজকের সব ছবির গল্প প্রথম শ্রোতা ছিলেন পামেলা চোপড়া।

যশজির কোনও ছবি তৈরির প্রথম দিন থেকেই জড়িয়ে থাকতেন তিনি। কভি কভি ছবির গল্প পামেলাই লিখেছিলেন।দিল তো পাগল হ্যায় এর চিত্রনাট্যও তাঁরই লেখা।বহু ছবির সহপ্রযোজনাও করেছিলেন পামেলা চোপড়া।ভাল গানও গাইতেন তিনি।কভি কভি,ত্রিশুল,নুরি,সিলসিলা,চাঁদনি,লমহে,ডর-এর মতো ছবির জন্য প্লেব্যাক করেছিলেন পামেলা চোপড়া।শাহরুখ খান,হৃতিক রোশন সহ বহু বলিউড তারকাকে সন্তান স্নেহ করতেন তিনি।সকলের সঙ্গেই ছিল স্নেহের সম্পর্ক।

যশ চোপড়া এবং দুই ছেলে আদিত্য চোপড়া ও উদয় চোপড়ার সঙ্গে একটু একটু করে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন প্রযোজনা সংস্থা যশ রাজ ফিল্মসকে। ২০১২ সালে যশ চোপড়ার প্রয়াত হন।তারপর থেকেই আদিত্য চোপড়ার উপদেষ্টা ছিলেন পামেলাই।তাই মায়ের প্রয়াণে প্রকৃত অর্থেই অভিভাবকহীন হয়ে পড়লেন যশ রাজ ফিল্মসের বর্তমান কর্ণধার। 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: