করোনা আতঙ্কে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। দেশেও প্রত্যেকদিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।  নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৮ জন। সব মিলিয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশ জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪১২। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৩ জনের।

 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে অসমে। এ দিন সকালে টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। অসমের হাইলাকান্দি জেলার ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিত্সাধীন ছিলেন। এ দিন সকালে শিলচর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

 

এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই তালিকায় আছেন হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার এবং এক স্বাস্থ্যকর্মী। বৃহস্পতিবার নবান্নে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘কয়েক জন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৮৩। তাঁদের মধ্যে তিন জন বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ফলে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৮০।’’ রাতে নবান্ন সূত্রে বলা হয়, এঁদের মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পাঁচ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের সন্ধান মেলেনি। ফলে এখন রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭৫। 

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অসমে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৯। তবে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু বা দিল্লির মতো রাজ্য়গুলিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যাটা মোটেই স্বস্তিদায়ক নেই। 

 

করোনা-আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৮৬। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের।

 

 দিল্লিতে ৭৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। রাজধানীতে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১২। তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: