“তণমূলকে জেতাতে পারেনি, তাই যোগ্য অফিসারদের সরিয়ে দিয়েছে এ জেলা থেকে। যার জেরে আতঙ্কে পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে জেলাতে, অবনতি হচ্ছে আইন শৃঙ্খলার।” মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আইন শৃঙ্খলা তথা মেদিনীপুর শহরে সোমবার হওয়া খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে এভাবেই তোপ দাগেন মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়ার মাঠে রাবন দহনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই জানালেন তিনি। পাশাপাশি এদিন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের চিঠি প্রসঙ্গেও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। তবে শোভন – বৈশাখী ইস্যু নিয়ে “স্পিকটি নট” ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এক কথায় কিচ্ছু বলার নেই, এটুকুতেই শোভন-বৈশাখী নিয়ে চলা বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেন রাজ্য বিজেপির এই দাপুটে নেতা।
 রাজ্য থেকে ৩৪ জন আইএএস আধিকারিককে ডেকে পাঠালো জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাদেরকে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে কাজে লাগানো হবে। আগামী ৩১ শে অক্টোবর তাদেরকে প্রশিক্ষনের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সারা দেশ থেকে মোট ৪১ জন আইএএস আধিকারিককে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মাত্র বাংলা থেকেই ৩৪ জনকে ডেকে পাঠানোর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ নিয়ে নতুন করে সংঘাত শুরু হল।
সূত্রের খবর, এই নির্দেশিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রায় ৫ মাস রাজ্যে উন্নয়নের কাজ স্তব্ধ হওয়ায় আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার ৩৪ জন আইএএস কে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্তে বিরোধিতায় মমতা। নির্বাচন কমিশনের শুধু মাত্র এই রাজ্য থেকে ৩৪ জন আধিকারিককে ডাকলে রাজ্যের উন্নয়নের কাজ যে থমকে যাবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই রাজ্যের আধিকারিকদের ছাড়তে নারাজ মমতা। যার জেরে ফের সংঘাতের আবহাওয়া তৈরি হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: