কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলকুচিতে আরও ৪ ব্যক্তির প্রাণ গেল। শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি-র হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন করানোর ভার যাদের কাঁধে, তাঁদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির।

অন্যদিকে, শীতলকুচির ঘটনায় এক সিনিয়র CAPF অফিসার জানিয়েছেন, আমাদের কাছে খবর আসে, প্রেমিসেস থেকে কিছু দূরে ভোটারদের আটকে দেওয়া হয়েছে। বুথে আটকে দেওয়া হয়েছে।  তখন CISF কোম্পানি কমান্ডেন্ট সেখানে যায়। তখনই বেশ কয়েকজন লোক ওই অফিসারের বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এই সময়েই শূন্যে গুলি ছোড়া হয়। জানা গিয়েছে বুথ থেকে ৩০০ মিটার দূরেই এই ঘটনাটি ঘটে। সিনিয়র CAPF অফিসার আরও জানিয়েছেন যে, তখনকার মতো ঝামেলা মিটে যায়। ফের শুরু হয় ভোট গ্রহণ পর্ব। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে ফের ৩০০-৪০০ জনের একটি দল চড়াও হয়। প্রথমে এক পুলিসকে মারধর করা হয়। এরপর এক প্রিসাইডিং অফিসারকেও মারধর করেন তারা। ঘিরে ফেলা হয় ফোর্সকে। তখনই বাহিনী গুলি চালায় বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার। তৃণমূলের দাবি ওই চারজনই তাঁদের সমর্থক। অন্যদিকে বাহিনীর দাবি, হঠাৎই ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরে। দু-পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: