ভাগ্যের চাকা যে কীভাবে ঘোরে তা কেউ জানে না। আর ভাগ্যের চাকা ঘোরার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল রানাঘাটের ভবঘুরে রানু মণ্ডলের জীবনের চাকা। পেটের খিদে মেটাতে স্টেশনে গান গাইতেন রানু। আর সেই গান অতীন্দ্র চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রানু মণ্ডলকে। কলকাতা, কেরল এমনকী বাংলাদেশ থেকেও গান গাওয়ার অফার এসেছে। ইতিমধ্যে হিমেশ রেশমিয়ার পরবর্তী সিনেমাতে প্লেব্যাক করেছেন রানু। হ্যাপি, হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবিতে একটি গান ইতিমধ্যেই গেয়েছিলেন রানু। সেই ছবিতেই আরও একটি গান তাঁকে দিয়ে রেকর্ড করিয়েছেন হিমেশ।

শোনা যাচ্ছে, সলমন খানের দাবাং-থ্রিতেও প্লেব্যাক করতে পারেন তিনি। যদিও এবিষয়ে দু’পক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এরই মাঝে রানুকে নিয়ে আরও এক কাহিনি প্রাকশ পেল। আগেই জানা গিয়েছিল কাজের সন্ধানে তিনি স্বামীর সঙ্গে মুম্বইতে গিয়েছিলেন। তারপর দিল্লি। কিন্তু স্বামী মারা যাওয়ায় ফিরে আসতে হয় রানাঘাটে। তবে মুম্বইতে রানু কাজ করতেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা তথা পরিচালক ফিরোজ খানের বাড়িতে। সম্প্রতি নবভারত টাইমসকে একটি সাক্ষাতকার একথা জানান রানু মণ্ডল। সেখানে ফিরোজ খান তাঁর ছেলে ফারদিন খান এবং ভাই সঞ্জয় খানের দেখভালের কাজ করতেন তিনি। তাঁদের ঘর পরিষ্কার থেকে শুরু করে তাঁদের সময় মতো খাবার দেওয়া, রান্না করা, সব কাজই করতে রানু মণ্ডল। যা শুনে রীতিমতো চমকে উঠছেন অনেকেই।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: