এ বছর জানুয়ারিতে সাত পাকে
বাঁধা পড়েছেন টলিউড দিভা অঙ্কিতা মজুমদার। তারপর রিসেপশন চলেছে বেশ কয়েকদিন ধরে।
আর মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন সাত সমুদ্দুর পার করে। আবার সেখানে গিয়েও এক প্রকার
সংসার শুরু করেছিলেন অঙ্কিতা। এ সবই আপানারা জানা। তবে বিয়ের পর প্রথম পুজো, আর
সেটা স্পেশাল হবে না তা তো হতেই পারে না! কী তাই তো ? এবার সেই স্পেশাল প্ল্যানিংয়ের কথাই জানালেন টলিউড
অভিনেত্রী অঙ্কিতা মজুমদার থুড়ি অঙ্কিতা মজুমদার পাল।
বিয়ের পর প্রথম পুজো হওয়ায় অন্যান্য বছর যা প্ল্যানিং থাকে এবারে তা সম্পূর্ণ আলাদা। পুজোর শো, ওপেনিং সব পঞ্চমীর মধ্যেই সারবেন অঙ্কিতা। তারপর ষষ্ঠী থেকে পুরোপুরি পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন। তবে গুয়াহাটিতে শ্বশুরবাড়িতে যেতেই হবে নবমী কিংবা দশমীর পর। থাকবেন লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত। আর অন্যান্য বছর শাড়ি পরার প্ল্যান থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা পরা হতো না। তবে বিয়ের পর প্রথম বছর সপ্তমী থেকে দশমী প্রতিদিনই শাড়ি পরবেন তিনি। সেই সঙ্গে অষ্টমীতে বরের থেকে স্পেশাল শাড়িও এবারে তাঁর প্রাপ্য। যদিও সবার জন্য শপিং কমপ্লিট হলেও নিজেদের জন্য বেশ কিছু শপিং এখনও বাকি। সেগুলো সৌমিত্র এবং অঙ্কিতা দু’জনে মিলেই সারার পরিকল্পনা রয়েছে। ‘খাওয়া একদম ঘরোয়া হবে। মা’র হাতে সপ্তমী এবং অষ্টমীর রান্না খাব। তারপর জানি না সৌমিত্র কী করবে!’ দেওয়ালে টাঙানো তাঁদের দু’জনের ছবির দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে একথাই বললেন অঙ্কিতা।
সবকিছু ছাড়িয়ে এ বছর অঙ্কিতার এতদিনের সাধ পূরণ হতে চলেছে। অনেক দিনের ইচ্ছে তাকলেও দশমীতে মা দুর্গাকে বরণ করার ইচ্ছে ছিল বরাবরই। তবে আচার অনুযায়ী তা হয়ে ওঠেনি। এবছর বিয়ের পর সেই ইচ্ছে পূরণ হতে চলেছে। যা একেবারে স্পেশাল। তবে সেই ইচ্ছে পূরণ মায়ের বাড়িতে নাকি শ্বশুরবাড়ি গুয়াহাটিতে হবে সে বিষয়ে এখনও দোটানা অব্যাহত।
তবে ছোটবেলার পুজো বড্ড মিস করেন অঙ্কিতা। সেই ক্যাপ ফাটানো, কাকুর স্কুটারে ঘুরতে যাওয়া। তথাকথিত পুজো প্রেম কোনও দিন না হলেও অন্য বান্ধবীদের বয়ফ্রেন্ডদের দেখতে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। এ বছর অবশ্য সৌমিত্রর সঙ্গেই পুজোতে প্রেম পর্ব চলছে চলবে বলে প্রচণ্ড হাসি অঙ্কিতার। তারপর বললেন, ‘বাকিটা ব্যক্তিগত...’
click and follow Indiaherald WhatsApp channel