তিনি একাধারে গায়ক, অন্যদিকে কম্পোজার, আবার আর এক দিকে অভিনেতা। তাঁর সঙ্গীত ভক্তরা সহজেই আলাদা করতে পারেন। নয়-নয় করে দশটি ছবিতে অভিনয়ও করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। আগামী ছবি ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’-এর প্রচারে সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন হিমেশ। সেখানেই কথা বললেন গান-অভিনয় এবং তাঁর ভবিষ্যতের প্ল্যানিং নিয়ে। অবশ্যই, রানু মণ্ডলকে নিয়েও।
এ ছবির চারটি গান গেয়েছেন রানু, যে শিল্পীকে রাতারাতি ‘ভাইরাল’ করে দিয়েছিল হিমেশের একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়ো। মিউজ়িক রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে প্রথম বার রানুর কণ্ঠে ‘এক পেয়ার কা নগমা’ শুনেই হিমেশ ঠিক করে ফেলেন, তাঁকে দিয়ে ‘তেরি মেরি কহানি’ গাওয়াবেন। ‘‘তখন কিন্তু আমি ওঁর অতীত সম্পর্কে জানতাম না। রেল স্টেশনে গাওয়া ওঁর ভাইরাল ভিডিয়োটিও দেখিনি। শুরুর দিকে প্রচুর ক্লাব মিউজ়িক করেছি। লতা মঙ্গেশকর ধাঁচের মেলোডিয়াস কণ্ঠ খুঁজছিলাম। তখনই রানুকে পেয়েছিলাম,’’ বললেন হিমেশ। প্রথম বার স্টুডিয়োতে রেকর্ডিংয়ের সময়ে রানু নাকি বেশ ঘাবড়েই ছিলেন। মাইক, হেডফোন নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। ‘‘দ্বিতীয় গানটা থেকেই সড়গড় হয়ে যান। এখন তো নিজেও প্রচুর শো করছেন,’’ বললেন হিমেশ। তবে রানু মণ্ডলকে ‘আবিষ্কার’-এর কৃতিত্ব নিতে রাজি নন হিমেশ, ‘‘দর্শক-শ্রোতারাই ওঁকে, ওঁর গানকে জনপ্রিয় করেছেন। এতে আমার কোনও ক্রেডিট নেই।’
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ‘খিঁচ মেরি ফোটো’ গানে দর্শন রাওয়াল কিংবা ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’-তে পলক মুচ্ছলের মতো নতুন গায়ক-গায়িকাদের তুলে ধরেছেন হিমেশ। ‘‘আমাকেও তো একদিন কেউ সুযোগ দিয়েছিল! সলমন ভাইয়ের (খান) সঙ্গে থাকতে থাকতে অভ্যেসটা হয়ে গিয়েছে,’’ হেসে বললেন হিমেশ। তবে রানু মণ্ডলের মতো রাতারাতি খ্যাতি পাওয়া শিল্পীরা কি লম্বা রেসের ঘোড়া? না কি সময়ের গর্ভে হারিয়ে যেতে পারেন অচিরে? হিমেশের তাৎক্ষণিক জবাব, ‘‘নিজের কণ্ঠের মানানসই গান আর সেই গান তৈরি করবে যে কম্পোজ়ার, তা খুঁজে নিতে হবে নিজেকেই। এখন বাড়ি এসে কেউ অফার দিয়ে যায় না। অসম্ভব প্রতিযোগিতা। বেশির ভাগ গায়ক তো এখন নিজেরাই গান লিখছে এবং গাইছে।’’ নিজের কম্পোজ়িশন গেয়ে এক সময়ে একের পর এক হিট তৈরি করেছেন হিমেশ। এখন যা চেনা ট্রেন্ড। ‘‘এই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাদশা ভাল কাজ করছে,’’ মত হিমেশের।
অ্যাপিয়ারেন্সেও নিজেকে আমূল পাল্টে ফেলেছেন হিমেশ। এক সময়ে গানের জন্য যতটা ভালবাসা পেয়েছিলেন দর্শকের কাছে, এখন অভিনেতা হিসেবেও ততটাই স্বীকৃতি পেতে চান, জানালেন তিনি, ‘‘অনেক খেটে নিজেকে তৈরি করেছি এই ছবিটার জন্য। আই ওয়ন্ট টু বি আ সুপার সাকসেসফুল অ্যাক্টর। গানটা তো আমার সহজাত। অভিনয় আর লুকের জন্য পরিশ্রম করতে হয়েছে।’’ সেটা অবশ্য তাঁকে দেখেও বোঝা যাচ্ছিল। জাভেদ আখতারের সঙ্গে ‘নমস্তে লন্ডন’-এর পর আরও এক বার কোলাবরেট করবেন ‘ম্যায় জাঁহা রহুঁ’ ছবিতে। যার শুটিং শুরু হওয়ার কথা আগামী বছর। তবে এখনও পর্যন্ত ‘গেমচেঞ্জার’ শুক্রবারের অপেক্ষায় রয়েছেন হিমেশ। যা তাঁকে অভিনেতা হিসেবে পৌঁছে দেবে খ্যাতির চুড়োয়— এমনটাই আশা তাঁর।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel