বিসিসিআই সভাপতি (BCCI President) সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) দাবি, বুমরাকে এখনই বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া উচিত হবে না। বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন বুমরা। বোর্ডের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ছ’মাস ছিটকে যেতে পারেন টিম ইন্ডিয়ার এক নম্বর জোরে বোলার। তবে সৌরভ শুক্রবার একটি ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, 'এখনও বুমরা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায়নি। দেখা যাক কী হয়। আগামী দু’-তিন দিনে বোঝা যাবে ও অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে কি না। এখনই ওকে হিসেবের বাইরে রাখা হচ্ছে না।'

অন্যদিকে, ইরানি কাপে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল সৌরাষ্ট্র। প্রথম দিন মাত্র ৯৮ রানে শেষ হয়ে গেল রঞ্জি চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস। অবশিষ্ট ভারতের হয়ে বাংলার মুকেশ কুমার চার উইকেট নিলেন। টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন অবশিষ্ট ভারতের অধিনায়ক হনুমা বিহারি। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, সেটা শুরুতে একাই প্রমাণ করে দেন বাংলার জোরে বোলার মুকেশ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে পর পর দু’বলে তুলে নেন হার্ভিক দেশাই ও চিরাগ জানিকে। দু’জনের কেউই কোনও রান করতে পারেননি। নিজের পরের ওভারে স্নেল পটেলকেও (৪) তুলে নেন মুকেশ। তার আগে চেতেশ্বর পুজারাকে ফিরিয়ে দেন কুলদীপ সেন। পুজারা ১ রান করেন। পরে শেলডন জ্যাকসনেরও উইকেট নেন মুকেশ। শুরু থেকেই মুকেশের বল খেলতে সমস্যায় পড়েন সৌরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। বাংলার এই ডানহাতি জোরে বোলার ১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। উমরান মালিক ও কুলদীপ সেন ৩টি করে উইকেট নেন। মুকেশ এবং উমরান বেশ কিছু দিন ধরেই ভারতীয় দলে ঢোকার দাবিদার। যশপ্রীত বুমরা চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তিনি অনিশ্চিত। এই অবস্থায় ইরানি কাপে জোরে বোলারদের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে নিশ্চিন্ত করবে এবং ভরসা জোগাবে রাহুল দ্রাবিড়, রোহিত শর্মাদের। জোরে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চ যে তৈরি, তা আরও এক বার প্রমাণিত হল।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: