সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপি দল যখন সাধারন মানুষকে বোঝাতে শুরু করেছে এবং সুপ্রিম কোর্টও সরকারকে বলেছে অবিলম্বে এই আইনের বিষয়গুলি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হোক । শুধু তাই নয় গতকালই কলকাতায় এই আইনের সমর্থনে বিজেপি দল মহামিছিলও করে । ঠিক সেই সময়ই দলের মধ্যেই থেকেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি তথা নেতাজির নাতি চন্দ্রকুমার বসু। সিএএ–তে কেন মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি? টুইট করে তাই জানতে চেয়েছেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি। তাঁর মতে, ভারত সব ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত।
 বেশ কয়েকটি টুইটের মাধ্যমে এদিন সিএএ–তে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সওয়াল করেন চন্দ্রকুমার বসু। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘সিএএ–২০১৯ যদি কোনও ধর্মের জন্য নাই হবে তাহলে কেন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান জৈন ও পার্সিদের কথা উল্লেখ রয়েছে? কেন মুসলিমদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হল না? আরও স্বচ্ছতার প্রয়োজন রয়েছে।’ তাঁর যুক্তি, ‘মুসলিমরা যদি নিজেদের দেশে অত্যাচারিত না হন, তাহলে তাঁরা এ দেশে আসতেন না। তাই তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করায় কোনও ক্ষতি নেই। তা ছাড়া এই ধারনা সম্পূর্ণ সত্যিও নয়। কারণ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বালুচ আহমদিয়াদের কী অবস্থা?’ অন্য একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘অন্যকোনও দেশের সঙ্গে ভারতের তুলনা চলে না। এদেশ সব ধর্মের জন্য উন্মুক্ত।’
চলতি মাসেই সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। তারপর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, নয়া আইন ধর্মের ভিত্তিতে গঠিত। দেশ ভাগের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ ঘিরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সিএএ ও প্রস্তাবিত এনআরসি লাগুতে বেঁকে বসছে এনডিএ শরিকরাও। বেকায়দায় বিজেপি। ঠিক তখনই ২০২১ বিধানসভাকে পাখির চোখ করা বাংলায় দলের রাজ্য সহ–সভাপতির কাছ থেকেই উল্টো সুর বেশ তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: