ছাপ্পাভোটের অভিযোগ ঘিরে সকাল থেকেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি নন্দীগ্রামের বয়ালে। পরিস্থিতি তদারকি করতে দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ রেয়াপাড়ার অস্থায়ী বাড়ি থেকে বয়াল মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর বুথের উদ্দেশে রওনা দেন মমতা। বয়ালে পৌঁছে হুইলচেয়ারে চেপেই গ্রামের ভিতরে ঢোকেন মমতা। রাস্তায় তাঁকে ছেঁকে ধরেন তৃণমূল সমর্থক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ করেন, বুথের দখল নিয়েছে বিজেপি। অবাধে ছাপ্পাভোট করে যাচ্ছে তারা। তৃণমূলের এজেন্টকে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর পরই সোজা ওই বুথে পৌঁছে যান মমতা। সেখানে তিনি পৌঁছতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। মমতাকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

এরপর ওই বুথ থেকেই রাজ্যপালকে ফোন করেন ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, এখানে মানুষজনকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। আইন শৃঙ্খলা আমার হাতে নেই। আপনি ব্যবস্থা নিন। রাজ্যপালকে ফোন করার পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনেও চিঠি লেখেন মমতা। ওই চিঠি পেয়ে বয়ালে চলে আসেন নির্বাচন কমিশনের ২ অবজার্ভার। তাঁরা এসে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বুথের উত্তেজনা নিয়ে কথা বলেন। তাঁর দাবি, চাপ্পা ভোট পড়ছে। বহু মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। অন্য়দিকে, নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে ফোন করেন সুদীপ জৈন। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankhar)। তিনি লেখেন, মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ তুলেছেন তা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের জানানো হয়েছে। আইন মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশাকরি গণতন্ত্র রক্ষায় যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হবে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: