বিজেপি শাসিত গুজরাট রাজ্যের নগ্ন করে কলেজ ছাত্রীদের দেহ তল্লাশি চালানো হয় হস্টেলে থাকা কলেজ ছাত্রীদের। শুধু এটাই দেখার জন্য যে তাঁদের পিরিয়োড চলছে কিনা। এ লজ্জা কোথায় লুকিয়ে রাখবে রাণী লক্ষীবাইয় ,মাদার টেরিজার ভারত। গুজরাতের সহজানন্দ ভুজ শহরের স্বামীনারায়ণ ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত গার্লস কলেজের হোস্টেলে থাকা ৬৮ জন ছাত্রীকে সার বেঁধে দাঁড় করিয়ে সকলের সামনে নগ্ন করে দেহ তল্লাশি চালাবার অভিযোগ উঠেছে।
যা নিয়ে এখন তোলপাড় শুরু হয়েছে গুজরাত থেকে দেশের রাজধানী দিল্লি। ঘটনার জেরে নড়েচড়ে বসতে বসতে বাধ্য হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। এদিন জাতীয় মহিলা কমিশন এক লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি অনুসন্ধান টিম তারা ওই হস্টেলে পাঠাবেন। এর পাশাপাশি কমিশনের তরফে এটাও জানানো হয়েছে যে তারা কচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দর্শনা ঢোলাকিয়াকে ও গুজরাত রাজ্য পুলিশের ডিজিপি শিবানন্দ ঝা’কে অনুরোধ করেছেন যেন তাঁরা দ্রুততার সাথে বিভাগীয় তদন্তের কাজ সেরে তার রিপোর্ট যেন কমিশনকে পাঠিয়ে দেন।
কমিশনের তরফে এদিন এটাও জানানো হয়েছে যে, তারা ইতিমধ্যেই সহজানন্দ গার্লস ইন্সটিটিউট কলেজ ট্রাস্টির সদস্য প্রবীণ পিন্ডোরা ও কলেজের প্রিন্সিপাল রীতা রঙ্গিয়ার কাছ থেকে জবাবদিহি চেয়ে পাঠিয়েছেন এই লজ্জাজনক ঘটনার জন্য। ঘটনার জেড়ে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে গুজরাত রাজ্য মহিলা কমিশনও। ইতিমধ্যে তারা রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত শুরু করে তার রিপোর্ট পেশ করতে।
শুক্রবার সকালেই গুজরাতের স্থানীয় মিডিয়ার মাধ্যমেই এই ঘটনার জানাজানি হয়। এদিন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীলাবেন আঙ্কোলা জানিয়েছেন, মিডিয়ার মাধ্যমেই, এদিন এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এরপর আমি নিজে পুলিশ কমিশনার আর কচ্ছের ডিএসপির সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। আমাদের নিজস্ব যে নারী আদালত রয়েছে তার সদস্যদেরো বলেছি এই ঘটনার তদন্ত করে তার রিপোর্ট জমা দিতে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: