রাজ্যপাল থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলের একই বক্তব্য কাশ্মীর স্বাভাবিক। কিন্তু আসল চিত্র কি সত্যিই তাই? জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক বড়কর্তা জানিয়েছেন, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪১০০ জনকে গ্রেফতার বা আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ পর্যন্ত ৬০৮ জনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত জনসুরক্ষা আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রায় সকলকেই উপত্যকার বাইরে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের নানা জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি এও জানিয়েছেন যে মূলত যে সমস্ত তরুণদের প্রশাসনের নজরে বিপজ্জনক মনে হচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে সরকারি ভাবে আটকের সংখ্যা জানানো না হলেও প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আটকের প্রকৃত সংখ্যা ৪১০০-রও অনেক বেশি। বিভিন্ন থানার লক-আপ ভরে যাওয়ার পরে বহু তরুণকে নিরাপত্তা বাহিনীর শিবিরগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের সংখ্যা পুলিশ কর্তার হিসেবের বাইরে থেকে গিয়েছে। সেখানে কোউকে যেতে দেওয়াও হচ্ছে না। বহু পরিবারই জানে না নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের ছেলে কোথায় আছে। প্রশাসনের মুখপাত্র প্রিন্সিপাল সচিব রোহিত কনসাল অবশ্য এই গ্রেফতার অভিযানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘আটক করা হচ্ছে, ছেড়ে দেওয়াও হচ্ছে। থানা পর্যায়ে এমন প্রক্রিয়া চলছেই।’’
ইয়াকুব নামের এক ট্রাক চালক বিক্ষোভকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তাবাহিনীর ট্রাক ভেবে পাথর ছোঁড়ে, সেই পাথর কাঁচ ভেঙ্গে এসে মাথায় লাগে, ফলে তিনি প্রাণ হারান।
পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ায় সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনেকে আটকে যান এর ফলে। সোমবার প্রশাসন জানিয়েছে, পুঞ্চ থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে একটি বাস পাকিস্তানের রাওয়ালকোট গিয়েছে। তার ৪৬ জন যাত্রীর মধ্যে ৪০ জনই ইদের ছুটিতে এ দেশে এসে আটকে পড়েছিলেন।
সোমবার পর্যন্ত টানা ২২ দিন মোবাইল ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ, স্কুল কলেজ বন্ধ, বন্ধ পরিবহন যোগাযোগ। কবে সবকিছু সত্যি স্বাভাবিক হবে তা ঈশ্বর জানেন।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel