জানা যাচ্ছে, বিরাট চিঠিতে লিখেছেন, “আমি এই ঘটনায় দোষী নই, আমি কোনও ভুল কাজ করিনি।“ এর পাশাপাশি তিনি নাকি আরও লিখেছেন, বিসিসিআই তাঁর যে ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নিয়েছে, তাতে তিনি একদম সন্তষ্টু নন। তিনি এমন কিছুও গম্ভীরকে বলেননি সেই দিন, যার জন্য তাঁকে এত বড় শাস্তি পেতে হয়েছে। আদৌ বিরাট কোহলি বিসিসিআইকে চিঠি পাঠিয়েছেন কী না সেই্ নিয়ে বোর্ডের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
আরসিবি দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতার দিনও সৌরভের সঙ্গে বিরাটে একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। হ্যান্ডশেকের সময় দু’জনেই দুজনকে পাত্তা না দিয়ে পরের জনের সঙ্গে হাত মেলাতে থাকেন। এই ঘটনা নিয়েও নাকি চিঠিতে নিজের মত জানিয়েছেন বিরাট।
প্রসঙ্গত, লিগ টেবিলে পাঁচ নম্বরে আছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আজ তারা মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালসের, যাদের অবস্থান একেবারে তলানিতে। দিল্লির প্লে-অফে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আরসিবির কিন্তু যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই সব পরিসংখ্যান দিয়ে এই ম্যাচের গুরুত্ব বোঝানো যাবে না। আসল কথাটা হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) দলের সঙ্গে দ্বৈরথ বিরাট কোহলির দলের। দিল্লির ঘরের মাঠে খেলা হলেও অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম কোহলিরও ঘরের মাঠ। এই শহরেরই ছেলে তিনি।
আগেরবার দুই দলের সাক্ষাতে ক্রিকেট মহল সরগরম হয়েছিল প্রাক্তন আর বর্তমানের সংঘাত নিয়ে। খেলা চলাকালীন সৌরভ সহ দিল্লি ডাগ আউটের দিকে বিতর্কিত ‘লুক’ দিয়েছিলেন কোহলি। ম্যাচের পর দুজনে হ্যান্ডশেকও করেননি, বলা ভালো এড়িয়ে গিয়েছিলেন সৌরভই। এ নিয়ে দুজনে মুখ না খুললেও ভিতরে ভিতরে যে চাপা উত্তেজনা রয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। বঙ্গসন্তান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার পর থেকে দুজনের সম্পর্কে তুমুল অবনতি ঘটেছে। মাঝখানে বিষয়টা থিতিয়ে গেলেও আইপিএলে ফের সংঘাত হয়েছে।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel