কিন্তু কি এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ?
ভৌগলিক ভাবে ঘাটালের আকৃতি অনেকটা কড়াইয়ের মতো৷ আর তাকে ঘিরে রয়েছে একাধিক নদী৷ তার ফলে বৃষ্টিতে ঘাটালকে ঘিরে থাকা কাঁসাই, শীলাবতি, রূপনারায়ণ দ্বারকেশ্বরের মতো নদ- নদীগুলি বর্ষায় ফুলে ফেঁপে উঠলেই ভেসে যায় ঘাটাল৷আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান'(Ghatal Master Plan) প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৫৯ সালে। শিলান্যাস হয় ১৯৮২ সালে। মাঝে অনেক ডিপিআর জমা, ফাইল লেনদেন চলে। কিন্তু সেটা ২০২১ সালেও এসে আর বাস্তবায়ন হয়নি।
এই প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে কী উপকার পাওয়া যাবে ?
এই প্ল্যানে মূলত ঘাটালকে ঘিরে থাকা মূল নদী এবং শাখা নদীগুলির নিয়মিত ড্রেজিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল৷ ঘাটাল মহকুমাজুড়ে সমস্ত নদীবাঁধ মেরামত করা। পাম্প হাউস তৈরির অনুমোদন চন্দ্রকোনা-ঘাটাল-দাসপুর-সহ পাশ্ববর্তী এলাকায়। নদীপথ সংস্কার করা হবে কংশাবতী ও শিলাবতীতে। স্থানীয় খালগুলিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, খাল সংস্কার। সেই সঙ্গে ঘাটালের নদী ও খাল গুলিতে লক গেট বাসানো। যাতে সেগুলির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং বন্যার হাত থেকে ঘাটাল রক্ষা পায়৷
বর্তমানে কী অবস্থা ?
কেন্দ্রীয় সরকারের গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিটিও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে ছাড়পত্র দেয়৷ প্রাথমিক ভাবে প্রকল্পের বাজেট ঠিক হয়েছিল ২২০০ কোটি টাকা৷ কিন্তু গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিটির হস্তক্ষেপের পর সেই বাজেট কমে দাঁড়ায় ১২৪০ কোটি টাকা৷ সেই সময়ের নিয়ম অনুযায়ী এই প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ ব্যয়ভার কেন্দ্রীয় সরকারের বহন করার কথা ছিল৷ বাকি অর্থ দিতে হত রাজ্যকে৷ কিন্তু পরবর্তী সময় সেই নিয়ম বদলে কেন্দ্র- রাজ্য দুই সরকারের উপরই প্রকল্পের পঞ্চাশ শতাংশ করে খরচের দায়ভার চাপে৷ ফলে রাজ্যে এবং কেন্দ্রে সরকার বদলিয়েছে, কিন্তু ঘাটালবাসীর দুর্দশা ঘোচেনি৷ এ বছরও সেই একই ছবির পুনরাবৃত্তি ঘটেছে ঘাটালে৷ বর্ষা এলেই ঘাটালের রাস্তা দিয়ে চলার জন্য নৌকা তৈরি থাকে৷ বাড়ি, ঘর, রাস্তা, হাসপাতাল, দোকান- বাজার, সবকিছুই জলের তলায় চলে যায়৷
click and follow Indiaherald WhatsApp channel