শুক্রবার পাটিয়ালা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা রায় দিয়েছেন যে আগামিকাল ১ ফেব্রয়ারি নির্ভয়া কাণ্ডে দণ্ডিতদের ফাঁসি হচ্ছে না।কবে এই চার দোষীর ফাঁসি হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। ফলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে না।

বৃহস্পতিবার আদালতে ওই ফাঁসি স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছিল। অপরাধীদের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে রাষ্ট্রপতি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। অক্ষয় কুমার সিংহ ও পবন গুপ্তও তাদের সামনে আইনত যে সব সুযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ইচ্ছুক। এই আর্জি শোনার পরে দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অজয় কুমার জৈন তিহাড় জেলের সুপারের কাছে সাজাপ্রাপ্তদের বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। এদিন সেই সমস্ত রিপোর্ট দেখেই শনিবার ফাঁসির রায়ে স্থগিতাদেশ দেন বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা। 

 

২০১৭ সালে নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ডে ফাঁসির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তার পর থেকে আইনের সমস্ত সংস্থান হাতড়ে বেরিয়েছে। এক দিকে ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তিহাড় জেলে। ফাঁসুড়ে পৌঁছেছেন, হয়ে গিয়েছে মহড়াও। অন্য দিকে ফাঁসির রায় স্থগিত করার সমস্ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন দণ্ডিতরা।

 

ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পূর্বনির্ধারিত তারিখের ২৪ ঘণ্টা আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল পবন গুপ্ত।  আর্জি ছিল তার  বয়স সম্পর্কিত রায় পুনর্বিবেচনা করুক সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট তাকে ফিরিয়ে দেয়। এর পরেও তার কাছে কিউরিটিভ পিটিশন, রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানানোর পথ খোলা থাকছে। শুধু পবনই নয়, আইনের ফাঁকফোকর খুঁজে চলেছে অন্য তিনজনও। যদিও মুকেশ সিংহর সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নির্ভয়ার দণ্ডিত অক্ষয়কুমার সিংহের ফাঁসির সাজা সংশোধনের আর্জি বা কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  তবু খোলা থাকছে রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানানোর পথ। অন্য এক দণ্ডিত, বিনয় শর্মা ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছে। এর মাঝেই পাটিয়ালা কোর্টের রায়ে সময় পেয়ে যাচ্ছে চার দণ্ডিত। 

এ দিন পাটিয়ালা কোর্টের রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্ভয়ার মা। তিনি বলেন, ‘‘নির্ভয়ার ধর্ষকদের আইনজীবী এ পি সিংহ আমায় চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, নির্ভয়ার ধর্ষকদের কখনও ফাঁসি হবে না। তবে আমি হার মানব না। সরকারকে ফাঁসি কার্যকর করতেই হবে।’’ 

 

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: