সাত সকালেই শহরে বড়সড় দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি স্কুলবাস। সোমবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ চিৎপুর লকগেট উড়ালপুলের কাছে ওই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে জখম হয় ১৪ জন ছাত্রী। আহত হন ছ’জন অভিভাবকও। গুরুতর জখম হয়েছেন বাসের চালক সোনু হালদার ও ধনঞ্জয় ভুঁইয়া নামে এক পথচারী। জখম সকলকেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছাত্রী ও অভিভাবকদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাসচালক ও সেই পথচারী সেখানেই চিকিৎসাধীন। বাসচালকের লাইসেন্স এবং বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, বেপরোয়া গতিতে চলার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই বাসে ছিল হেদুয়ার হোলি চাইল্ড স্কুলের ছাত্রীরা। সঙ্গে কয়েক জন অভিভাবকও ছিলেন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীদের বেশ কয়েক জন মাথায় চোট পেয়েছে। কারও আবার হাত-পা কেটে গিয়েছে। কারও আবার চোট লেগেছে কোমরে। দু’জন অভিভাবকের চোট কিছুটা বেশি। তবে তাঁদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকেরা জানান, বাসটি যে ভাবে চলছিল, তাতে আরও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। হাসপাতালে এ দিন ছাত্রীদের দেখতে এসেছিলেন স্কুলের শিক্ষিকারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বাসটি উল্টে যাওয়ার পরেই ভিতর থেকে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। বাসের উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে সামনের অংশটি পুরোপুরি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল। সেখান দিয়েই ভিতরে ঢুকে অভিভাবক ও ছাত্রীদের পিছনের দরজা দিয়ে বার করে আনেন তাঁরা। বাসচালক পুলিশকে জানিয়েছেন, ব্রেক ফেল করেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাসে কিন্ডারগার্টেন থেকে দশম শ্রেণি— বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রীরা ছিল। স্কুলে গিয়ে ফি জমা দেওয়ার জন্য কয়েক জন অভিভাবকও ওই বাসে উঠেছিলেন।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel