ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না বলে আজ কেন্দ্র সরকারকে সর্তক করল সুপ্রিম কোর্ট । সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার বলে , “তথ্য আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ইন্টারনেট। এবং এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতারই একটি অংশ। সুতরাং এ বিষয়ে দ্রুত পর্যালোচনা করতে হবে।” শীর্ষ আদালত আরও বলে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা যায় না। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার বলেই মনে করছে তারা। সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গে মতবিরোধ ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার কারণ হতে পারে না। এটা বাক্স্বাধীনতার অংশ। ইন্টারনেটের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত প্রশাসনের। এর পাশাপাশি আদালত বলে, সমস্ত নির্দেশ এবং ফোন পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ১৪৪ ধারার অধীনে যে সব নির্দেশ রয়েছে সরকারকে সেগুলোও প্রকাশ করতে হবে।
১৪৪ ধারার বারংবার প্রয়োগের সমালোচনাও করেছে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “মতপার্থক্যকে দমন করার অস্ত্র হিসেবে এটাকে ব্যবহার করা যায় না।” বিচারপতি রামানা বলেন, “মানুষের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার মধ্যে ভারসাম্য এবং নাগরিকদের অধিকার সুনিশ্চিত করাও কাজ আমাদের। নির্দেশের পিছনে কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ আছে কিনা সেটা দেখা কাজ নয় আদালতের।”
উল্লেখ্য , জম্মু-কাশ্মীরে কেন ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে শুরু করে মানুষের সাধারনভাবে চলা ফেরার করার অধিকার কেন বন্ধ রেখেছে এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন কাশ্মীর টাইমস-এর সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন ও কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ ।বিচারপতি এন ভি রামানা, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার।
এই মামলার শুনানীতে যে ভাষায় বিচারপতিরা আজ কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন তাতে বিব্রত কেন্দ্র । সাত দিনের মধ্যে নিষেধাঞ্জা তুলে নেওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ কেন্দ্র নিয়েছে তা জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট । আজকের সুপ্রিম কোর্টের কড়া অবস্থানে মনে করা হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা খুব তাড়াতাড়ি চালু করতে পারে সরকার ।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel