বাংলা সাহিত্যের মিষ্টি প্রেমকে বলিউডের হেঁসেলে নিয়ে গিয়ে ফেলার অন্যতম এক প্রধান কারিগর আজ চলে গেলেন। প্রয়াত কিংবদন্তী পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার বাসু চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে IFTDA-এর তরফে। মৃত্যুর সময়ে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সিনেমা জগতে।

 

জন্ম ১৯২৭ সালের ১০ জানুয়ারি। রাজস্থানের অজমের শহরে। জীবনভর প্রবাসী এই বাঙালির পরিচালনায় হিন্দি ছবিতে রাজত্ব করেছিল বাঙালি আমেজ। চলচ্চিত্র জগতে ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায় এবং বাসু ভট্টাচার্য ঘরানার যোগ্য উত্তরসূরী ছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। মধ্যবিত্ত জীবনের প্রেক্ষাপটে মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ নিয়েই ছবি তৈরি করেছেন তিনি। শুধু সিনেমার দুনিয়াতে নয়, টেলিভিশন জগতেও তাঁর অবাধ বিচরণ। দূরদর্শনের 'ব্যোমকেশ বক্সী', 'রজনি'র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকেরও পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ থেকে ৯৭ দুরদর্শনের পর্দায় সম্প্রচারিত হয় ব্যোমকেশ বক্সী। যেটি ভীষণই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। লকডাউনে কারণে আবারও দুরদর্শনের পর্দায় ফিরে এসেছে ধারাবাহিকটি। আর এটির পরিচালক আর কেউ নন, ছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। এই ধারাবাহিকে রজিত কাপুর ছিলেন সত্যান্বেষীর ভূমিকায়। অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কে কে রায়না। 

 

‘সারা আকাশ’-এর সাফল্যের পর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর ‘পিয়াকা ঘর’, ‘উসপার’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘ছোটি সি বাত’, ‘চিতচোর’, ‘স্বামী’, ‘সফেদ ঝুট’, ‘খাট্টা মিট্টা’, ‘দিল্লাগী’ ‘দুর্গা’ প্রভৃতি বক্স অফিস সফল ছবি তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়। বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ওপর টালিগঞ্জের এক বিশেষ নির্ভরতা ছিল। ‘মাদার’ ছবির পরিচালক ছবির একটি গান পিকচারাইজ করার জন্য বাসু চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। দীপঙ্কর দে ও শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত এই গানের দৃশ্যটি আজও দর্শকের স্মৃতিতে অম্লান। 

 

সারা জীবনে তিনি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ধারাবাহিক মিলিয়ে মোট ৪৮টি ছবি করেছেন। ১৯৯৮ সালে তিনি প্রথম বাংলা ছবি বানান ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। ২০১২ সালে বাংলা ছবি ‘হঠাৎ সেদিন’ তাঁর জীবনের শেষ ছবি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: