করোনার ত্রাসে কম্পিত দেশবাসী প্রত্যাশা করেছিলেন হয়তো প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তাতে কিছু আশার বানী শোনা যাবে, কিন্তু কোথায় বা কি? বিকেল ৫টায় ৫ মিনিট ধরে তালি আর থালা বাজাতে বলার পরে এ বার রাত ৯টায় ৯ মিনিট ধরে প্রদীপ আর মোমবাতি জ্বালাতে বলা! এর জন্য সারা দেশকে বার্তা সাতসকালে!

 

লকডাউনের জেরে রোজগার বন্ধ ঠেলা-রিকশা-টোটো চালক থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত ‘দিন আনি দিন খাই’ শ্রমিক-মজুরের। দাবি ছিল, এই প্রবল আর্থিক দুর্যোগ সামাল দিতে হাতে অন্তত কিছু টাকা দিক কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সরকারি ত্রাণ প্রকল্পে যেটুকু সহায়তার কথা বলেছেন, তাতে আর যা-ই হোক, সংসার চলে না। প্রধানমন্ত্রীর বার্তায় তেমন প্রাপ্তিযোগের আশা করেছিলেন কেউ কেউ। হতাশ তাঁরাও। 

 

কর্মী সংগঠনগুলির অভিযোগ, লকডাউনের জেরে সারা দেশে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে গাদাগাদি করে আটকে রয়েছেন সাড়ে ৬ লক্ষেরও বেশি ভিন্ রাজ্যের শ্রমিক। কেন্দ্রের স্পষ্ট নির্দেশিকা সত্ত্বেও তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে বেতন এমনকি কর্মী ছাঁটাইও করছে বহু সংস্থা। সারা দেশ থেকে তার অভিযোগ মিলছে ভুরিভুরি। চরম বিপাকে ঠিকা কর্মীরা। লকডাউনের জেরে রুটি এবং মাথার উপরে ছাদ দুই-ই হারিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। ইউনিয়নগুলির দাবি, এঁদের জন্য নিদেন পক্ষে খাবার, থাকার জায়গা, ওষুধ, হাতে ন্যূনতম টাকার ব্যবস্থা করুক সরকার। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক কর্মী ছাঁটাই করা মালিকদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তেমন কথাও মোদী বললেন কই? 

 

করোনা রুখতে দিনে বহু বার সাবানে হাত ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে। অথচ দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষের না আছে সেই সাবান কেনার সামর্থ্য, না জলের জোগান। লকডাউনের তীব্র ধাক্কা দেশের অর্থনীতি (বিশেষত অসংগঠিত ক্ষেত্র) কী ভাবে সামলে উঠবে, তা এখনও অজানা। অনেকেই বলছেন, “আমরা চেয়েছিলাম, এ সবের উপরে আলো ফেলুন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তা হল কই!” প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কথায়, সকলে আশা করেছিলেন অর্থনীতির ইঞ্জিন নতুন করে চালু করার টোটকা মিলবে। কিন্তু তা হয়নি। 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: