গণতান্ত্রিক পথে আমরা সকলেই চাই ভোট নির্বিঘ্নে হোক। তবে কোথাও যদি বিক্ষিপ্তভাবে ঘটনা হয়ে থাকে তবে সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করব আপনাদের কাছে যদি কোনও ফুটেজ থাকে, কোনও প্রমাণ করতে পারেন তৃণমূলের কেউ এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন সেক্ষেত্রে আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব। তৃণমূলের কেউ যুক্ত থাকে, কোনও কর্মী, সমর্থক বা নেতা যুক্ত থাকে, আপনারা সেই ফুটেজ প্রকাশ্যে আনুন। পাবলিক ডোমেনে আনুন। সামনে আনুন। দলীয়স্তরে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেব। এভাবেই ভোটের মাঝপথে ফের কর্মীদের লক্ষ্য করে ফের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।

প্রসঙ্গত, এদিন ভোট শুরুর পর থেকেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মেলে। শিয়ালদহ, বেলেঘাটায় বোমাবাজি হয়। টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে বোমাবাজিতে জখম হন ২ জন। একজন পা হারান। কোথাও আবার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। হাতেনাতে ধরা পড়ে ভুয়ো ভোটার। বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিতের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি, বেলেঘাটায় ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে আবার সিসিটিভি ক্যামেরা কাগজের স্টিকার লাগিয়ে ঢেকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে পোলিং এজেন্ট বসতে 'বাধা' দেওয়ার অভিযোগ করে। যদিও এজেন্ট প্রসঙ্গে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে অভিষেকের টিপ্পনী, "বিরোধীরা এজেন্ট দিতে না পারলে তৃণমূল কী করবে?" একইসঙ্গে তিনি বিজেপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে আরও বলেন, ত্রিপুরা পুরভোটে সন্ত্রাসের তথ্যপ্রমাণ সব আদালতে জমা দিয়েছে তৃণমূল। তাই বিজেপির কাছে কোনও প্রমাণ থাকলে, তা নিয়ে আদালতে যাক বিজেপি! সব মিলিয়ে পুরভোট ঘিরে এদিন সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: