ভারত প্রত্যাশিত ভাবেই জিম্বাবোয়েকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইওয়াশ করল। কেএল রাহুলের টিম ৩-০ সিরিজ জিতল রেগিস চাকাভাদের বিরুদ্ধে। সোমবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তুলেছিল। জবাবে জিম্বাবোয়ে অলআউট হয়ে যায় ২৭৬ রানে। ১৩ রানে ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ভারত প্রথম দু'টি ওয়ানডে জিতেই সিরিজ পকেটে পুরে ফেলেছিল। এদিন শিখর ধাওয়ান ও কেএল রাহুল ভারতের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন। ৪৬ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে ক্যাপ্টেন আউট হয়ে যান। রাহুল ফেরার পর তাঁর ডেপুটি ধাওয়ান ফেরেন ৬৮ বলে ৪০ রান করে। তিনে নামা শুভমান গিল ও চারে ব্যাট করতে আসা ঈশান কিশান ১২৭ বলে ১৪০ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। ৬১ বলে ৫০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ঈশান রান আউট হয়ে যান। এরপর হারারে দেখে গিল শো। ৯৭ বলে ১৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১৫টি চার ও ১টি ছয়ের সৌজন্যে গিল ১৩৪.০২-এর স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। এদিন গিল কেরিয়ারের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরিরও স্বাদ পেয়েছেন।

কী ভাবে শতরান পেলেন, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শুভমন বলেছেন, “চাইছিলাম ডট বল (যে বলে রান হয় না) কম খেলতে। পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে রান করাই আমার উদ্দেশ্য ছিল। আমি ব্যাট করতে যাওয়ার সময় রাজা এবং ইভান্স ভাল বোলিং করছিল। সেই সময়ে বাকি বোলারদের উপর আক্রমণ করা দরকার ছিল। এক বার উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়ার পর আমি এবং ঈশান ঠিক করে নিই, এ বার আক্রমণ করতে হবে।” অর্ধশতরানের পর হঠাৎই ব্যাট বদলে ফেলেন শুভমন। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, “আসলে ওই ব্যাটটা খুব ভাল। ওটাকে তুলে রাখতে চাই। তাই জন্যে ব্যাট বদল করলাম। প্রথম বার শতরান পাওয়ার মুহূর্ত অসাধারণ।” সতীর্থদেরও প্রশংসা করেছেন শুভমন। বলেছেন, “পাশে দারুণ সব সতীর্থকে পেয়েছি। অনেক দিন ধরে ওদের সঙ্গে খেলছি। তাই আলাদা একটা বোঝাপড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে।”

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: