কয়লা-কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। মঙ্গলবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে জমা পড়া চার্জশিটে ওই ৪১ জনের মধ্যে রয়েছে ৪ জন কয়লা মাফিয়ার নাম। তাঁরা সকলেই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। তাঁদের নাম জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ নন্দা, গুরুপদ মাঝি এবং নীরদ মণ্ডল। চার্জশিটে নাম রয়েছে বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশেরও। চার্জশিটে নাম থাকা ব্যক্তিরা, যাঁরা বর্তমানে জেলের বাইরে রয়েছেন, তাঁদের কাছেও এ বার সমন পাঠাবে সিবিআই। করা হবে আরও জিজ্ঞাসাবাদ। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরও কাউকে জেরা করতে চাইতে পারে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, প্রাথমিক চার্জশিটে ৪১ জনের নাম থাকলেও, পরবর্তী কালে তাতে আরও অনেক নাম যুক্ত হবে।

অন্যদিকে, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আসানসোলের সিবিআই আদালত। স্রেফ জেল হেফাজতে পাঠানো নয়, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত এনামুল হকের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনে প্রমাণ মিলেছে। বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই। ৯ জুন নিজাম প্যালেসে দিনভর জেরার পর, গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে। কেন? সূত্রের খবর, জেরায় বহু প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি সায়গল হোসেন। তদন্তকারীদের সহযোগিতা করছিলেন না তিনি। গ্রেফতারির ৩৯ দিন পর আসানসোলে সিবিআই আদালত জামিনের আবেদন করেছিলেন সায়গল। এদিন শুনানিতে ধৃতের আইনজীবী বলেন, 'গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিএসএফ কমান্ডার সতীশজীর ৩২ দিনের মাথায় জামিন পেয়েছেন, তাহলে ৩৯ দিনের মাথায় কেন জামিন পাবেন না সায়গল হোসেন'? পাল্টা সওয়ালে আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য ও সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এমনকী, 'জামিন পেলে প্রমাণ লোপাটে'র আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: